বাংলাহান্ট-ভারতবর্ষের উল্লেখযোগ্য ঘটনা গুলোর মধ্যে অন্যতম নাগরিকত্ব বিল, যা আইনে কার্যকর হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কিছু জায়গায় হামলা চালায় কিছু দেশদ্রোহী মানুষ তারা দেশের সম্পত্তি নষ্ট করে। বাংলায় মুর্শিদাবাদ মালদা, মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, উত্তর-দক্ষিণ২৪পরগনা ছাড়াও একাধিক জেলাতে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের দেশদ্রোহী মানুষ তারা হামলা চালায়।
পুড়িয়ে দেওয়া হয় আস্ত ট্রেন, একাধিক বাসে ভাঙচুর করা হয় এবং বিপুল পরিমাণে ক্ষতি হয় সরকারি সম্পতি। এরপরেও তারা থেমে থাকেন নি তারা পরপর তিনদিন ধরে তাণ্ডবলীলা চালায় বাংলায়। ভারতবর্ষের গুরুত্বপূর্ণ ডাকঘর এবং একাধিক কারখানার উপর আক্রমণ করে। এর ফলে বেশ কিছুটা চাপের মুখে পড়তে হয় রাজ্যের শাসক দলকে। অবশেষে তিনদিন পরে বেশ কয়েকজন কে গ্রেপ্তার করে।
এর পরে উত্তর প্রদেশ, আসাম, মনিপুর, দিল্লীতে পুলিশের উপর হামলা চালানো হয়, পাল্টা উত্তর প্রদেশ পুলিশও হামলা চালায়।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ একটি জনসভা করে নদীয়ার রানাঘাটে, সেখানে তিনি বলেন যেভাবে অন্য রাজ্যে যারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে তাদেরকে গুলি করে মেরেছে পুলিশ, যেমনি এই রাজ্যে যারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে তাদেরকে গুলি করে মারা উচিত।
BJP, as a party has nothing to do with what a DIlipGhosh may hv said•It is a figment of his imagination&BJP Govts in UP, Assam hv NEVER EVER resorted to shooting people for whatever reason whatsoever•Very irresponsible of DilipDa to hv said what he said https://t.co/aXF8pmJtAR
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) January 13, 2020
এর পরেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা বাবুল সুপ্রিয় টুইট করে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যকে তীব্র সমালোচনা করেন । এরপর দিলীপ ঘোষ বলেন আমি আমার ভাষায় কথা বলেছি কেউ সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করবে তা আমরা চুপ করে শুনবো না।
এইদিকে দিলীপ ঘোষের এই গুলি করে মারার যে নিধান দিয়েছেন সেই নিধান এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল দিলীপ ঘোষ কে গুলি করে মারার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। আজ তার বিরুদ্ধে তৃণমূলের করল এখনো পর্যন্ত এই পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।