বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শাস্ত্রে বলা হয় যেখানে নারীদের সন্মান দেওয়া হয় সেখানে দেবতা বিরাজ করেন। অন্যদিকে যেখানে নারী নির্যাতিত হয় সেখানে শয়তান বিরাজ করে। তবে এখন নারীর সন্মান প্রদানের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি পিছিয়ে পড়েছে বাংলা। সন্মান প্ৰদান তো দূর নারী নির্যাতনের তালিকায় প্রথম উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) নাম। এই নারী নির্যাতনের ইস্যু নিয়েই সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি (BJP) সাংসদরা। আজ সংসদে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে গান্ধী মূর্তির সামনে বিজেপি সাংসদরা একত্রিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গে হওয়া নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। পশ্চিমবঙ্গে কেন মহিলাদের সুরক্ষা নেই তার উপর প্রশ্ন তোলেন বিজেপি সাংসদরা।
গান্ধী মূর্তির সামনে উপস্থিত থাকার সময় বিজেপি সাংসদদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড এবং মুখে ছিল তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। ‘নারী নির্যাতনের সরকার আর নেই দরকার’, মহিলার ন্যায় দিন’, ‘পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র বাঁচাও’, ইত্যাদি হাতে থাকা কার্ডের মধ্যে লেখা ছিল। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বিজেপি সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) নেতৃত্বে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) থেকে শুরু করে সমস্ত বিজেপি সাংসদেরা তৃণমূল সরকারের শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মুখর হন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ” এটা খুবই দুঃখের বিষয়, বাংলার মানুষজন খুবই ভরসা নিয়ে মমতা ব্যানার্জীকে (Mamata Banerjee) মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করেছিলেন যাতে মহিলারা সুরক্ষিত থাকেন। কিন্তু আজ বাংলায় মহিলারা সবথেকে বেশি অসুরক্ষিত।”
রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, এমন কোনো দিন বাদ যায় না, যেদিন কোনো মহিলাকে শোষিত হতে হয় না। ধর্ষণ, অপহরণের মতো ঘটনা হামেশাই বাংলায় ঘটে চলেছে। গঙ্গারামপুরে কিভাবে এক শিক্ষিকাকে তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমন করেছিল তার উপরেও মুখর হন দিলীপ ঘোষ।
সম্প্রতি মালদা এবং উত্তর দিনাজপুরে হায়দ্রাবাদ গণ ধর্ষণের আদলেই নৃশংস ধর্ষণ এবং ধর্ষণের মামলা সামনে আসে। এরপরেও কোন কড়া পদক্ষেপ মমতা ব্যানার্জী এবং প্রশাসনের তরফ থেকে দেখা যায়নি। এমনকি মালদায় ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতারই হয়নি। উপরন্তু মালদার ঘটনা নিয়ে একটি বিতর্কিত মন্তব্যও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। বিজেপির তরফ থেকে বারবার নারী নির্যাতন নিয়ে সরব হলেও সরকারের তরফ থেকে তেমন কোন কড়া পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিজেপির সাংসদেরা আজ বাধ্য হয়ে গান্ধী মুর্তির সামনে ধরনায় বসেন।