বাংলা হান্ট ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়নের পর রাজ্য জুড়ে শুধুমাত্র বিক্ষোভের আঁচ। রাজ্যের উত্তর প্রান্ত থেকে দক্ষিণ প্রান্ত সমগ্র জায়গাতে তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ জন। পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে যে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তবে এবার এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ অনুরোধ করেছেন।
একই সঙ্গে রাজ্য সরকার কোনও রকম ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলে মালদহ মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের বাড়ি ঘর ভাঙা হচ্ছে এবং হোটেল দুষ্কৃতীরা লুঠ করে নিচ্ছে বলে জানান। রবিবার দিন রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করতে সায়ন্তন বসু এবং দিলীপ ঘোষরা রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর সাংবাদিকদের সামনেই অভিযোগ তুলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এবং পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেন দিলীপ পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলায় এমনটাই বলেন দিলীপ ঘোষ।
অন্য দিকে রাজ্যের অশান্তির পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজ্ঞাপন বলেও পাল্টা দিচ্ছে বিজেপি। কন কী প্রশ্ন তুলেছেন সরকারি টাকায় তিনি কী ভাবে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন? অন্যদিকে তৃণমূলের পাশাপাশি বামেদেরও ছাড়েননি দিলীপ। হোটেল লুঠ এবং বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য বামেদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তির তোলেন এবং সেখানেই বিমানবাবু ও সূর্যদের যাওয়ার কথাও জানান।
অন্যদিকে রাজ্যের এই অশান্তি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ দরকার রাজ্য সরকার সমস্ত রকম পদক্ষেপ বরণ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন এবং এই ঘটনায় রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল।