বাংলা হান্ট ডেস্ক : শমীক ভট্টাচার্যের (Shamik Bhattacharya) রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের দিনেই বিজেপির (BJP) অন্দরে ফের শুরু ‘কে বাইরে কে ভিতরে’ বিতর্ক। দলের দু’জন প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghos) ও তথাগত রায়কে (Tathagata Ray) আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বৃহস্পতিবারের সংবর্ধনা সভায়। দুই নেতা প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে চাপা গুঞ্জন। একের পর এক কর্মসূচিতে বাদ পড়ছেন দিলীপ, দল থেকে দূরত্ব যেন বেড়েই চলেছে।

সংবর্ধনায় নাম নেই দিলীপের
দলীয়ভাবে বৃহস্পতির সংবর্ধনায় শমীককে আনুষ্ঠানিক ভাবে নতুন সভাপতির শংসাপত্র তুলে দেবেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। উপস্থিত থাকবেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতারা। কিন্তু সেখানে নেই দিলীপের নাম। ফোনে জানতে চাওয়া হলে দিলীপ বলেন, ‘‘আমায় আলাদা করে কিছু জানানো হয়নি। আমি ভোটার নই, তাই যাওয়া আমার কথা নয়।’’ তথাগত রায়ও বলেন, ‘‘আমন্ত্রণ পেলেও যেতাম না। জ্বর রয়েছে।’’ দলীয় একাংশের দাবি, শুধু এই অনুষ্ঠান নয়, গত কিছু কর্মসূচিতেও বাদ পড়েছেন দিলীপ। ৬ মে-র রাজ্য নেতৃত্বের বিশেষ বৈঠকে ছিলেন না, জেলা স্তরের কর্মসূচিতেও অনুপস্থিত। দলের মধ্যেই অনেকে বলছেন, দিলীপ প্রাক্তন সভাপতি ও কোর কমিটির সদস্য হয়েও কীভাবে একাধিক কর্মসূচি থেকে বাদ পড়ছেন, তা দলের ‘নতুন’ ঘরানা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে।
আরো পড়ুন : হাতে ডুগডুগি, মুখে মহাদেব! রাজ্য সভাপতির বদলের পর অন্য মেজাজে দিলীপ ঘোষ

দিঘার অনুষ্ঠানে উপস্থিতি কি কাল হল?
অনেকে বলছেন, সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন দিলীপ। সেখান থেকেই নাকি শুরু হয়েছে বিতর্ক। তারপর থেকেই তাঁকে এক প্রকার একঘরে করে রেখেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অনেকের মতে, দিলীপের স্বাধীন ভাবনাচিন্তাই তাঁকে একঘরে করে দিচ্ছে। দিলীপ নিজেও দলের একাংশকে নিশানা করে মন্তব্য করেছেন, ফলে তার প্রভাব পড়েছে পার্টি লাইনেও। এর মধ্যেই শোনা যাচ্ছিল, দিলীপ নাকি নতুন দল গড়তে পারেন! কয়েকজন ঘনিষ্ঠের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন বলে গুঞ্জন। যদিও তিনি নিজে তা নস্যাৎ করেছেন। তবে একের পর এক ঘটনা তাঁকে বিজেপির মূলস্রোত থেকে যে সরিয়ে রাখছে, এ নিয়ে সন্দেহ নেই।