বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং এবার অনুব্রত, দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে একে একে গ্রেফতার হয়ে চলেছেন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা। আবার অপরদিকে, দুর্নীতিতে নাম জড়ালেও এখনো পর্যন্ত বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কোনওরকম ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি সিবিআই কিংবা ইডিকে! এই অভিযোগেই বর্তমানে বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে চলেছে ঘাসফুল শিবির।
গত দুদিন ধরে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে পথে নেমেছে তৃণমূল ছাত্র যুব এবং মহিলা সংগঠন। আর এর মাঝে এই মিছিলকে কটাক্ষ করে বসলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর দাবি, “শ্রীলঙ্কার মত অবস্থা হবে বাংলার। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের তাড়া করে মারবে মানুষ।” স্বাভাবিকভাবেই, তাঁর এই মন্তব্যের পর বিতর্ক আরো বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর তৃণমূল কংগ্রেস দলের তরফ থেকে দুর্নীতি এবং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি দেওয়া হলেও অপরদিকে আবার সিবিআই এবং ইডির মত কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির নিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে দেওয়া হয়। এর পরেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে দুদিন ব্যাপী প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেয় তারা। সেই কথা মতো কলকাতা সহ জেলায় জেলায় প্রতিবাদ বিক্ষোভে নেমেছে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। সেই প্রসঙ্গে গতকাল দিলীপ ঘোষ জানান, “এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জুতো খেয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডল খেয়েছেন। তোমরা যদি প্রতিবাদ মিছিলে যাও, তাহলে ছেঁড়া জুতো খাবে। লোকে কাদা ছুড়ে মারবে। তোমাদের যদি মান-সম্মান থাকে, তবে মিছিলে যেও না। নাহলে লোকে জুতো মারবে, আমরাও মারবো।”
উল্লেখ্য, রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলন কর্মসূচি গড়ে তোলার পাশাপাশি বহু বিজেপি কার্যালয় ঘেরাও অভিযান করে তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, “পার্থদা দিয়ে শেষ হয়ে যাবে, এমনটাই ভেবেছিল তৃণমূল। তবে তা হয়নি আর এভাবে যদি এগোতে থাকে, তবে ওদের দলটা উঠে যাব”
এরপরেই তিনি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলার তুলনা টেনে বলেন, “সিন্ডিকেট এবং কামাই কি করে হবে? এটা ভেবেই ওরা প্রতিবাদ করে চলেছে। কিন্তু বাংলার মানুষ অন্য মুডে আছে। ওরা রাস্তায় যদি প্রতিবাদ মিছিল করে চলে, তবে বাংলার অবস্থা শ্রীলঙ্কার মত হবে। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের মানুষ তাড়া করে মারবে।”