বাংলা হান্ট ডেস্ক : এবার জমি বিতর্কে জড়িয়ে পড়লো নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) নাম। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে জমি দখলের অভিযোগ তুলে চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই চিঠি সামনে এল গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা। এই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh) বলেন, ‘এই ধরনের বিতর্কে জড়ানোই উচিৎ নয় অর্মত্য সেনের।’
প্রতিদিনের মতো ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বের হন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যসভাপতি নেতা দিলীপ ঘোষ। একাধিক বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। কথায় কথায় ওঠে অর্মত্য সেনের প্রসঙ্গও। দিলীপবাবু বলেন, ‘ওঁর মতো মানুষের এ ধরনের বিতর্কে জড়ানোই উচিত নয়। সত্যি যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে ওঁর নিজের থেকেই বিষয়টি সকলকে জানানো উচিত। ওঁর তো টাকার কোনও অভাব নেই। সরকার অনেক দিয়েছে। উনি নিজে অনেক টাকা রোজগার করেছেন। ধনী বাড়িতে বিয়ে করেছেন। তাই এসব ছোট বিষয়ে বিতর্ক ওঁর এড়িয়ে চলাই উচিত।’
অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে চিঠিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানায়, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা জোর করে দখল করে রেখেছেন। সমীক্ষার মাধ্যমেই এমনটা জানতে পেরেছেন কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের ওই চিঠিতে সেই জমি ফিরিয়ে দেওয়ারও আবেদন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অমর্ত্য সেনও। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, তাঁরা আমাকে চিঠি পাঠিয়েছে। এতে অনেকগুলি মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া রয়েছে। এই ধরনের মিথ্যাচারের উত্তর দেওয়ার আগে, আমি পরীক্ষা করে দেখব যে তাঁরা কী ভাবে এই কথা বলছেন।’ প্রয়োজনে তিনি আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যদি আইনজীবী মনে করেন যে এই মিথ্যা অভিযোগের জবাব দেওয়া দরকার, তাহলে আমি আইনের দ্বারস্থ হব।’
বিশ্বভারতী সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ১৯৪৩ সালে অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেনকে ১২৫ ডেসিমেল জমি ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়। এই জমিতেই গড়ে ওঠে অমর্ত্যবাবুদের পারিবারিক বাড়ি ‘প্রতীচী’। ২০০৬ সালে অমর্ত্য সেনের আবেদনের ভিত্তিতে জমির লিজ তাঁর নামে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু, বিশ্বভারতীর দাবি, জমির মাপ করে দেখা যায়, পাশাপাশি দু’টি লিজ় দেওয়া জমির মধ্যবর্তী বিশ্বভারতীর নিজস্ব ১৩ ডেসিমেল জমিও ঢুকে রয়েছে ‘প্রতীচী’র সীমানার ভিতরে। সেই জমি নিয়েই এখন চলছে বিতর্ক।