বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্র রাজ্য সংঘাতের মাঝে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (caa) যেন আগুনে ঘি পড়ার মতন। কেন্দ্রের তরফ থেকে নতুন করে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগের প্রয়োজন দেখলেও, তৃণমূল মনে করে এ দেশে বসবাসকারী ভোটদাতা, করদাতা, সম্পত্তির মালিক এবং তাঁদের পরিবারবর্গ সবাই নাগরিক। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (dilip ghosh) গলায় শোনা গেল কিছুটা অন্যরকম সুর।
অশোকনগরে দলের বারাসত সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকেই তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলেই রাজ্যে তাড়াতাড়ি কার্যকর করা যেতে পারে সিএএ আইন। নতুবা লকডাউন কেটে গেলে, কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের সুবিধা মত এই আইন কার্যকর করা হবে’।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির গলায় এরকম কথা শুনে প্রশ্ন উঠেছে, কেন্দ্রীয় আইন কার্যকর করার জন্য কি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতির প্রয়োজন আছে? কিন্তু এর উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সহযোগিতা চাই মুখ্যমন্ত্রীর’। এবিষয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, সিএএ চালু করার ক্ষেত্রে কেন্দ্র রাজ্যের মধ্যেকার বড় বিরোধিতাকে আঁচ করতে পেরেই, দিলীপ বাবু এমন মন্তব্য করেছেন। যাতে করে একদিকে মতুয়া পাড়ায় গিয়ে নাগরিকত্ব বিধি জারির ইচ্ছা প্রকাশ করাও যায়, আবার তা জারি না করার পেছনে একটা কারণও দেখানো যায়।
অন্যদিকে এবিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিপক্কতা নেই দিলীপ ঘোষের। সিএএ, এনপিআর, এনআরসি নিয়ে ভালো করে পড়াশুনা করার দরকার ওনার। রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর আমরা করতে দেব না, আর এই আইনের কোন প্রয়োজন নেই। আমাদের সকলের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড আছে, আমার ভোট দিই। সুতরাং আমরা সকলেই দেশের নাগরিক’।