বাংলা হান্ট ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election) শিয়রে। তার আগে নিজ নিজ রণনীতি সাজাতে ব্যস্ত প্রতিটি রাজনৈতিক দলই। বাকিদের মত মাঠে নেমেছে এসএফআইও। এইদিন বীরভূম রামপুরহাট ছফুকোর কাছে একটি সভা রেখেছিল এসএফআই (SFI)। এই সম্মেলনেই মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দীপ্সিতা ধর (Dipsita Dhar)। সম্মেলনে এসে পুরো দস্তর অ্যাটাকিং মোডে ধরা দিলেন তিনি।
এইদিন সভামঞ্চ থেকে দীপ্সিতা ধর বলেন, ‘সরকারের দায়িত্ব মানুষের অন্ন-কাপড়-বাসস্থানের সংস্থান করা। মন্দির-মসজিদ বানানো সরকারের কাজ নয়। মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা সরকারের কাজ নয়। গত সাড়ে ৯ বছরে দেশে শাসন চলেছে তাতে কোনও মানুষই ভাল থাকেননি। তথ্য বলছে, গত সাড়ে ৯ বছরে ভারতের বুকে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছে। প্রতিদিন ২০ জন করে আত্মহত্যা করেছে।’
যদিও এসএফআই নেত্রীর এই বক্তব্যকে যে সকলেই খুব ভালোভাবে নিয়েছেন এমনটাও নয়। সভা চলাকালীনই মঞ্চের পেছনে শুরু হয় কথা কাটাকাটি, তর্কবিতর্ক। সূত্রের খবর, দীপ্সিতার রাম মন্দির ইস্যুতে কথা বলাটা মোটেও ভালো চোখে দেখেননি তারা। তাদের দাবি, রাজনীতির সাথে ধর্ম টানা উচিত নয়। প্রতিবাদী যুবকের স্পষ্ট আপত্তি দীপ্সিতার ‘হিন্দুত্ববাদী’ রাজনীতি নিয়ে কথা বলায়।
আরও পড়ুন : I.N.D.I.A-র পদ প্রত্যাহার নীতীশের, এবার কি তবে জোটে ভাঙন?
প্রাথমিকভাবে আয়োজকরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। শেষমেষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ঝামেলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। যুবককে এই বিষয়ে জেরা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার স্কুটিটা ওখানে রাখা ছিল। ওরা সব ওটায় বসে খারাপ করে দেওয়ার উপক্রম করেছিল। ওটা দেখে আমার মাথা গরম হয়ে যায়। তারপর দেখি একই কথা বলে যাচ্ছেন। তখনই প্রতিবাদ করি।’
আরও পড়ুন : রাম মন্দির উদ্বোধনের পরেই হু হু করে বাড়বে এই ৫ স্টক! কিনে রাখুন, কপাল খুলে যেতে পারে
যদিও দীপ্সিতার বক্তব্য আবার অন্য। তিনি বলেন, ‘আমি অনেক কথা বলেছি। কৃষকের কথা বলেছি, শ্রমিকের কথা বলেছি, কুস্তিগিরদের কথা বলেছি। কিন্তু উনি শুধু রামমন্দিরটাই শুনতে পেয়েছেন। আসলে যাঁরা সমস্যা তৈরি করতে চান। তারা অনেক কিছুই খুঁজে বের করবেন। কিন্তু, আমরা জানি আমরা কোনও অযৌক্তিক কথা বলিনি।’ তবে দীপ্সিতা যতই যাই বলুক না কেন, এসএফআইয়ের সভার এই বিশৃঙ্খলাকে খুব একটা ভালো চোখে দেখছেনা কেউই।