বাংলাহান্ট ডেস্ক : করোনা মহামারীর সময় সারা বিশ্ব থমকে গিয়েছিল। লক্ষ লক্ষ মৃত্যু, লক ডাউন, আধুনিক পৃথিবী সাক্ষী থেকেছে এক ভয়ংকর সময়ের। আমরা ভাবতেই পারিনি কখনো এই ধরনের অবস্থা হতে পারে। তবে ফের একবার অশনি সংকেত শোনা যাচ্ছে। কোভিডের পর ফের নতুন মহামারীর (Pandemic) হাতছানি।
এই মহামারী হয়ত করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর হতে পারে। হু প্রধান টেড্রস অধানম গেব্রেয়েসুস, এই বিষয়ে কিছুদিন আগেই সতর্ক করেছিলেন। WHO প্রধান সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছিলেন, এবার বিশ্ববাসীর করোনার থেকেও শক্তিশালী মহামারীর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। আমাদের কোভিড থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনের মহামারী প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতি গড়ে তুলতে হবে।
বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু করেছেন জানতে যে আগামী দিনে কোন কোন ধরনের রোগ পৃথিবীতে আসতে পারে। সেই গবেষণা থেকেই উঠে এসেছে এক্স রোগের কথা। এর পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিজিজ এক্স’। হু প্রধান টেড্রস অধানম গেব্রেয়েসুসের কথায়, করোনা কালে গোটা বিশ্ব আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল।
কারণ আমরা সেইভাবে কেউ প্রস্তুত ছিলাম না কোভিড-১৯-এর জন্য। গত ১০০ বছরে এই মহামারী ছিল সবথেকে বড় স্বাস্থ্য সংকটের কারণ। এই রোগে অন্তত দুই কোটি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। গুরুতর আঘাত এসেছে বিশ্বের স্বাস্থ্য ও অর্থ ব্যবস্থায়। এই রোগের কারণে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা।
আগামী দিনে যে ধরনের রোগ পৃথিবীতে ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে তার মধ্যে রয়েছে ইবোলা, সার্স, জিকার মতো সংক্রমণের নাম। সম্প্রতি সেই তালিকায় নতুন নামটি হল ‘ডিজিজ এক্স’। ইবোলা, সার্স, জিকা, ‘ডিজিজ এক্স’ ছাড়াও আগামী দিনে যে রোগগুলি পৃথিবীতে আসতে পারে সেগুলি হল মার্বার্গ ভাইরাস, ক্রিমিয়ান-কঙ্গো হেমারেজিক ফিভার, লাসা ফিভার, নিপা, রিফট ভ্যালি ফিভার, মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম ইত্যাদি।
বলা বাহুল্য, ‘ডিজিস এক্স’ নিয়ে উদ্বেগের কারণ হল এর জন্য কোন ভ্যাকসিন বা চিকিৎসা থাকবে না।এই রোগগুলিতে আক্রান্ত হলে বহুক্ষেত্রেই প্রাণনাশের সম্ভবনা থেকেই যায়। তাই এই অতিমারী প্রতিরোধের জন্য আমাদের এখন থেকেই সতর্কতা ও প্রস্তুতির প্রয়োজন। নয়তো আগামী দিনে পৃথিবী আরো কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হতে চলেছে।