স্তন ক্যানসারের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে কন্যাশ্রীর সাহায্য জেলা প্রশাসনের

বাংলাহান্ট ডেস্ক: সমীক্ষা বলছে, ভারতে যত মানুষের মৃত্যু হয় তার মধ্যে ২৫ শতাংশ মারা যায় স্তন ক্যানসারে। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এই রোগ। কিন্তু যথাযথ সচেতনতার অভাবে বিনা চিকিৎসাতেই মারা যাচ্ছে রোগীরা। সমাজে এখনও স্তন বা স্তন ক্যানসারের ওপর একটা ট্যাবু রয়েছে। তাই এই বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে অস্বস্তি বোধ করেন অনেকেই। সেই কারনে স্কুল ও কলেজের মেয়েদের স্তন ক্যানসারের সম্পর্কে সচেতন করার জন্য উদ্যোগী হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। জেলার কন্যাশ্রী ও স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ উদ্যোগে শুরু হল এই সচেতনতা অভিযান। সারা রাজ্যের মধ্যে এ ধরনের প্রচারে দক্ষিণ দিনাজপুরই প্রথম। ইতিমধ্যেই মানুষ বেশ ভালভাবেই গ্রহণ করেছে বিষয়টাকে। শুক্রবার জেলা প্রশাসনের বালুছায়া মঞ্চে আয়োজিত হয়েছিল স্বাস্থ্য দফতরের প্রজেক্ট প্রজ্ঞা। প্রচুর পড়ুয়াকে অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে সেখানে।

pink awareness ribbon

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, যেসব মহিলাদের ক্যানসারের কারনে মৃত্যু হয় তার মধ্যে বেশিরভাগটাই স্তন ক্যানসার। একবার সেরে গেলেও ফের ফিরে আসতে পারে এই রোগ। অন্যদিকে সচেতনতার অভাব থাকায় এই বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতেও লজ্জা পান অনেক মহিলাই। দক্ষিণ দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দের কথায়, “খুব অল্প বয়স থেকেই স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে মেয়েরা। কিন্তু সচেতনতা না থাকায় চিকিৎসাও হচ্ছে না। আর যখন হচ্ছে তখন পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।”

দক্ষিণ দিনাজপুরের কন্যাশ্রী প্রকল্প আধিকারিক মহাদ্যুতি অধিকারি এই বিষয়ে বলেন, “লজ্জা ভেঙে সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে। স্কুল কলেজের মেয়েদের এই বিষয়ে সচতন করলে তারা বাড়ি গিয়ে বাড়ির মহিলাদের সচেতন করতে পারবে।”

kanyasree2

প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিটি স্কুল ও কলেজে যাবে স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ টিম। তারা কন্যাশ্রী মেয়েদের স্তন পরীক্ষা করার পদ্ধতি শেখাবেন, যাতে তারা নিজেরাই পরীক্ষা করে অসঙ্গতি বুঝতে পারে। সাধারনত ১০-২০ বছরের মেয়েরা স্তন ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হয়। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, সঠিক সময়ে ধরা পড়লে এর সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর