বাংলাহান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতির জেরে ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই মামলায় এবার নয়া মোড়। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে জিটিএ (Gorkhaland Territorial Administration)। আর সেখানেই সাময়িক স্বস্তি। হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চ।
আর কি বলল আদালত? Calcutta High Court
বুধবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের এই মামলা উঠলে হাইকোর্টের একক বেঞ্চের রায়ের উপর ১২ সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করা হল। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এই শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করছেন। এই বিষয়টি একক বেঞ্চ ভেবে দেখেনি। পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এবং অন্যান্য কারণে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ ছিল, সেই বিষয়টিও বিবেচনা করা হয়নি।
গত ১৭ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ওই ৩১৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই রায়ে ১২ সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করল ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি রাজ্য সরকার ও মামলাকারীকে হলফনামা পেশ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে বিচারপতি বসু নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এবং সত্যতা সামনে আনার জন্য সিআইডি তদন্ত চালিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন।
কি নিয়ে মামলা?
জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে অর্থাৎ পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল। মূলত বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয়েছিল। যোগ্যতা যাচাই না করেই নিয়োগের অভিযোগ উঠেছিল। এই মামলাতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিনয় তামাং, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ হাবড়ার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা বুবাই বোস, স্কুল পরিদর্শক প্রাণগোবিন্দ সরকার-সহ রাজন্যা হালদারের স্বামী প্রান্তিক চক্রবর্তীরও নাম সামনে এসেছিল।

আরও পড়ুন: দল গঠনের ঘোষণার পরই চাপে হুমায়ুন! কী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে ভরতপুরের বিধায়কের বিরুদ্ধে?
নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট CBI তদন্তের নির্দেশ দেয়। যোগ্য-অযোগ্যের তালিকা প্রকাশেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। সেই সময় ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি বসুর নির্দেশই বহাল রাখে। এরপর সুপ্রিম কোর্টে গেলে সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি ফের হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেয়। এরপর বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে সম্প্রতি চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। পাশাপাশি সিআইডি তদন্ত চলবে বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি। এবার সেই চাকরি বাতিলের নির্দেশে ডিভিশন বেঞ্চের স্থগিতাদেশ জারি।












