‘২৫ এপ্রিলই…’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জোর ধাক্কা, আদালতের এক নির্দেশে ঘুম উড়ল রাজ্যের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ থেকে রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে (Recruitment Scam) তোলপাড়। শিক্ষক কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ বহুজনা। আদালতে চলছে মামলা। এদিকে সম্প্রতি সমতলের পর পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শোরগোল পড়েছে রাজ্যে। পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’র মামলায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশের ওপর স্থগিতদেশ চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। তবে এদিন রাজ্যের আবেদনে সায় দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’র মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি শেষের রায়দান স্থগিত রেখেছিল হাইকোর্ট। তবে এদিন সকালে সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখল হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত,এই মামলায় আগেই প্রাথমিক অনুসন্ধান করে সিবিআই-কে জমা করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পাশাপাশি জিটিএ-কেও রিপোর্ট দিতে হবে বলে জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে সেই নির্দেশের বিরোধীতা করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। এদিন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, জিটিএ নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র অভিযোগগুলির বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান করবে সিবিআই।

উল্লেখ্য, এই দুর্নীতির বিষয়ে বিচারপতি বসুর কাছে এক সরকারি অফিসার এক চিঠি দিয়েছিলেন। এই সংক্রান্ত দু’টি বেনামি চিঠি জমা পড়েছিল আদালতে। এই সব চিঠি খতিয়ে দেখবে সিবিআই। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ২৫ এপ্রিল সিঙ্গল বেঞ্চেই অনুসন্ধানের রিপোর্ট দেবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত যে দু’টি বেনামি চিঠি আদালতে জমা পড়েছে, তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, জিটিএ-র আওতায় কিছু কিছু স্কুলে স্বেচ্ছাসেবী (ভলান্টিয়ার) শিক্ষক আছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য তদন্তের জন্য এফআইআরও করেছে। তবে তদন্তের জন্য যে সময় চাওয়া হয়েছি বিচারপতি বসু সেই সময় দেননি।

ওদিকে পাল্টা মামলার মূল আবেদনকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, এই দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের কোনো হেলদোল ছিল না। অভিযোগ পেয়েও প্রথমে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। পরে আদালত হস্তক্ষেপ করায় রাজ্য নড়েচড়ে বসে। তখন এফআইআর করা হয়।

প্রসঙ্গত, পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এফআইআর ঠুকেছে খোদ রাজ্য সরকার। স্কুল শিক্ষা দফতরের করা অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তর বিধাননগর থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

high court

আরও পড়ুন: BJP নেতার বাড়িতে তাজা বোমা! ‘লাড্ডু নাকি যে না মেরে ওভাবে সাজিয়ে রাখবে? পাল্টা প্রশ্ন উদয়নের

পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ শিক্ষা দফতরের দায়ের করা অভিযোগে নাম রয়েছে বিনয় তামাং, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ হাবড়ার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা বুবাই বোস, স্কুল পরিদর্শক প্রাণগোবিন্দ সরকার-সহ রাজন্যা হালদারের স্বামী প্রান্তিক চক্রবর্তীরও। জিটিএ-র স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এদের বিরুদ্ধে। এই মামলাতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্ট।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর