এশিয়ার সেরা ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় একটিও নেই বাংলাদেশের! শিক্ষায় চরম দুরবস্থা পড়শিদেশের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ব্রিটেনের টাইমস হায়ার এডুকেশন প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তালিকা প্রকাশ করে। কয়েকদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে ‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৪’-এর র‌্যাংকিং তালিকা। এখানে বিশ্বের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং এশিয়ায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় গুলির একটি তালিকা প্রকাশ পায় ।

প্রায় প্রতি বছর শীর্ষ তালিকায় থাকলেও এবছর শুধু সারা পৃথিবীতে নয়, এশিয়ার সেরা ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেও স্থান পায়নি বাংলাদেশের (Bangladesh) কোনও বিশ্ববিদ্যালয়। অন্যদিকে ভারতের ৪০টি এবং পাকিস্তানের ১২ টি বিশ্ববিদ্যালয় এই তালিকায় রয়েছে। এশিয়া মহাদেশের মোট ৩১ টি দেশের ৭৩৯ টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এই র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে যে এই তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থান ৫০০তম।

র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ স্থানে রয়েছে চিনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং দ্বিতীয় হয়েছে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। তৃতীয় হয়েছে সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া সেরা দশের মধ্যে চিনের ৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়,সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের ২ টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় এই তালিকায় জায়গায় পেয়েছে।

আরও পড়ুন:ঘরে নেই টাকা, বাবা সামান্য কৃষক! সেই চাষির ছেলেই মাধ্যমিকের সেরা দশে

এই তালিকায় ভারতের যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্থান পেয়েছে তাঁর মধ্যে সেরা পাঁচটি হল, ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স, আন্না ইউনিভার্সিটি, মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয় (কেরালা), জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সুলিনি ইউনিভারসিটি অফ বায়টেকনলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সায়ন্সেস।

বাংলাদেশ এশিয়ান বিশ্ব বিদ্যালয় গুলির এই তালিকায় পিছিয়ে পড়লেও টাইমস হায়ার এডুকেশন এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৪-এর করা তালিকায় ৩০১-৩৫০ এর মধ্যে নাম রয়েছে বাংলাদেশের। এবং দেশে সেরা হয়েছে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুন:মোদীর নকল করেই খ্যাতি, বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়বেন শ্যাম রঙ্গিলা! কোন দলের হয়ে?

এরপর ৩৫১-৪০০ এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। ৪০১-৫০০ এর মধ্যে রয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আর ৫০১-৬০০ এর মধ্যে রয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর