বাংলাহান্ট ডেস্ক: দিব্যা ভারতী (Divya Bharti), নব্বইয়ের দশকে নামটা ঝড় তুলেছিল বলিউডে। রূপে গুণে সবদিক দিয়েই তিনি ছিলেন অনন্যা। মাত্র তিন বছরেই ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেত্রী হয়ে উঠেছিলেন দিব্যা। প্রথম সারির অভিনেতাদের সঙ্গে একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু যেমন ঝড়ের গতিতে এসেছিলেন, তেমনি হঠাৎ করেই একদিন ‘নেই’ হয়ে গেলেন দিব্যা ভারতী।
বলিউড দুনিয়ায় এতদিন পর্যন্ত যতজন অভিনেত্রী এসেছেন আর গিয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকে সৌন্দর্যের নিরিখে দিব্যা ভারতীর ধারেকাছে খুব কম জনই আসতে পারবেন। তাঁর চোখের চাহনি থেকে মিষ্টি হাসি যেন মাদকতা ছড়াত দর্শকদের মনে। মাত্র তিন বছর অভিনয় করেছিলেন তিনি। তারপরেই মাত্র ১৯ বছর বয়সেই শেষ হয়ে যায় তাঁর জীবন। এখনো পর্যন্ত দিব্যা ভারতীর মৃত্যুর কারণ রহস্য হয়েই থেকে গিয়েছে।
১৯৭৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণ করেন দিব্যা ভারতী। মাত্র নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েই পড়াশোনাকে বিদায় জানান তিনি। পা রাখেন মডেলিংয়ে। সে সময়ে তাঁর বয়স মাত্র ১৪। দুরন্ত গতিতে উত্থান হয়েছিল দিব্যা ভারতীর। প্রথমে তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ‘ববিলি রাজা’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
সেই ছবি হিট হওয়ায় বলিউডের দিকে ঝোঁকেন দিব্যা। হিন্দিতে তাঁর প্রথম ছবি ‘বিশ্বাতমা’। সেটা সাল ১৯৯২। অবিশ্বাস্য গতিতে এগোচ্ছে দিব্যা ভারতীর কেরিয়ার। শুরু করতে করতেই ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছিলেন তিনি। একসঙ্গে ১৪ টি ছবিতেও সাক্ষর করে দিয়েছেন! এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছিল যে অন্যান্য অভিনেত্রীরা হিংসা করতে শুরু করেন দিব্যাকে।
তখনি আরো এক বড় চমক দেন অভিনেত্রী। কেরিয়ারের শীর্ষে থাকার সময় মাত্র ১৯ বছর বয়সে প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়েন তিনি। বয়সে ৮ বছরের বড় সাজিদের প্রতি তাঁর প্রেম এতটাই গভীর ছিল যে হিন্দু ধর্ম বদলে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতেও দুবার ভাবেননি দিব্যা।
তাঁর বিয়ের খবর সবাইকে হতবাক করে দিয়েছিল। কিন্তু চমকের তখনো বাকি ছিল। বিয়ের মাত্র ১১ মাস পরেই আসে সেই মর্মান্তিক দুঃসংবাদ। প্রয়াত হয়েছেন দিব্যা ভারতী। শোনা যায়, পাঁচ তলা থেকে নীচে পড়ে গিয়ে মারা যান তিনি। কিন্তু এমন সফল অভিনেত্রীর এমন অকালমৃত্যু অনেক সন্দেহের প্রশ্নচিহ্ন তুলেছিল। পুলিস তদন্তও করেছিল। কিন্তু কোনো প্রমাণ না মেলায় ১৯৯৮ সালে বন্ধ হয়ে যায় তদন্ত। স্মৃতির অতলেই তলিয়ে যান দিব্যা ভারতী।