বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ জোর কদমে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। এই সময় মার্কিন রাষ্ট্রপতি দাবী করেছিলেন, ম্যালেরিয়া রোগের ঔষধ হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন (Hydroxy Chloroquine) দিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীকে কিছুটা হলেও সুস্থ করা যাচ্ছে। তাই তিনি ভারতের কাছে এই ওষুধের দাবী করে। মার্কিন রাষ্ট্রপতির কথার বিবেচনা করে ভারতও ওষুধ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশকে এই ওষুধ রপ্তানি করছে।
বর্তমানে সকল দেশেই ছড়িয়ে গেছে করোনা ভাইরাসের সাময়িক প্রতিষেধক হল হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন। এবং দ্রুতগতিতে এই ওষুধের চাহিদা বেড়েই চলেছে। তবে এই ওষুধের বিষয়ে প্রথমে WHO জানিয়েছিল, এই ওষুধ খেলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর কোন উপশম হয় না। কিন্তু পরে আমেরিকার এক চিকিৎসক এক করোনা রোগির উপর এই ওষুধের প্রয়োগ করলে, তাঁর সুফল পাওয়া যায়। আর তারপর থেকেই এই ওষুধের চাহিদা বাড়তে থাকে।
হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন হল ম্যালেরিয়া রোগের ঔষধ। গণনা বলছে, ভারতে প্রতিবছর বহু মানুষ ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়। তাই ভারতে এই ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন করা হয়। সেই কারণে সংকটের এই সময়ে এই ওষুধের উতপাদিন বাড়িয়ে দেয় ভারত সরকার। দেশীয় বিভিন্ন কোম্পানীকে দেওয়া হয়েছে এই ওষুধ তৈরির ছাড়পত্র। তবে অনেকেই এখন করোনা ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি পাবার জন্য এই ওষুধ কিনে ঘরে মজুত রাখতে চাইছেন।
হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন ওষুধ সম্পর্কে চণ্ডীগড়ের এক বিখ্যাত ডাক্তার ডাঃ জগত্রাম বললেন, ‘কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে এই ওষুধ খুবই কার্যকরী হচ্ছে। রোগী সাময়িকভাবে কিছুটা সুস্থ বোধ করে। তবে এই ওষুধ রোগীর এবং চিকিৎসকদের সম্মতি ব্যতীত দেওয়া হচ্ছে না। তবে বলব, এই ওষুধ কোন সাধারণ মানুষের সরাসরি খাওয়া উচিত নয়। যদি কোন ব্যক্তিকে কোন ডাক্তার এই ওষুধ খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন, তবেই এই ওষুধ খাওয়া উচিত। ডাক্তারদের পরামর্শ ব্যতীত খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এই ওষুধের অনেক রকম সাইড এফেক্টও থাকে’।
চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া একদমই এই ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। কারণ এই হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন ওষুধের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। যা চিকিৎসকদের পরামর্শ খেলে অনেক শারীরিক অসুস্থতার মুখোমুখি হতে হবে সাধারণ মানুষকে। এই ওষুধ খেলে চোখের ভয়ঙ্কর রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তার কারণ, এই ওষুধ সেবন করলে রেটিনার উপর তার ভয়ঙ্কর প্রভাব পরে। আবার, এই ওষুধ সেবন করতে হার্ট এবং ডায়রিয়া রোগের প্রকোপেও পড়তে পারে মানুষজন। তাই সাময়িক সুস্থতা পেতে গিয়ে পরবর্তীতে ভয়ঙ্কর অসুস্থতার দিকে না জাওয়াই ভালো সাধারণ মানুষের জন্য। যদি কোন চিকিৎসক কোন ব্যক্তিকে এই ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন, তবেই এই ওষুধ খাওয়ায় উচিত।