বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাতে আর মোটে তিন দিন। এর মধ্যেই আয় করদাতাদের সেরে ফেলতে হবে একটি বড় কাজ। আয়কর (Income Tax) দফতরের তরফে সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, আগামী ১৫ ডিসেম্বর অগ্রিম বা অ্যাডভান্স ট্যাক্স জমা দেওয়ার তৃতীয় কিস্তির শেষ তারিখ। এই সময়সীমার মধ্যে যদি অগ্রিম কর জমা দেওয়া না হয় তবে বড়সড় জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে।
আয়করদাতাদের (Income Tax) সতর্ক করল কেন্দ্র সরকার
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে করদাতাদের। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে যদি অগ্রিম কর জমা না দেওয়া হয় তবে আয়কর আইনের আওতায় সুদ এবং জরিমানা দুটোই দিতে হবে। আর্থিক বছর শেষ হওয়ার পরেই আয়কর (Income Tax) রিটার্ন ফাইল করার সময় কর দিতে হয়। কিন্তু করের টাকা একেবারে না দিয়ে কিস্তিতে জমা দেওয়ারও সুযোগ থাকে। আয়কর আইনের নিয়ম অনুযায়ী, একে ‘আয়ের নিরিখে অর্থ প্রদান’ বলা হয়। এই বিষয়টিই হল অ্যাডভান্স ট্যাক্স।

কাদের দিতে হবে অগ্রিম কর: জানিয়ে রাখি, সমস্ত করদাতাদের জন্য কিন্তু এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। একটি নির্দিষ্ট আয়ের সীমা পেরোলেই অগ্রিম কর দিতে হয়। এর কিছু শর্তও রয়েছে। কোনও করদাতার টিডিএস কেটে নেওয়ার পরেও যদি মোট প্রদেয় করের (Income Tax) পরিমাণ ১০ হাজার টাকা কিংবা তার বেশি হয় তবে তাঁর অগ্রিম কর দেওয়া বাঞ্ছনীয়। যেকোনো ব্যক্তি, করের অঙ্ক উপরিউক্ত সীমা পেরিয়ে গেলেই অগ্রিম কর দিতে বাধ্য।
আরও পড়ুন : রাতের ট্রেনে শৌচাগারে লুকিয়ে বিপদ, একাকী তরুণীর সঙ্গে যা ঘটল… ভয় ধরাবে ভিডিও
প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ছাড়: ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের মোট আনুমানিক করের অন্তত ৭৫ শতাংশ জমা দিতে হবে। ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থাও। কোনও প্রবীণ নাগরিকের যদি ব্যবসা বা পেশা থেকে কোনও আয় না থাকে, শুধুমাত্র পেনশন বা সুদের উপর নির্ভর করে থাকেন, তবে তাঁদের অগ্রিম কর জমা দিতে হবে না। আর্থিক বছর শেষে আয়কর রিটার্ন ফাইল করার সময়েই পুরো কর মিটিয়ে দিতে পারবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৬ ডিসেম্বর, নাম না থাকলে কী করবেন জানুন
যদি কেউ ডেডলাইন মিস করেন তবে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে আয়কর বিভাগ। মোট করের ৭৫ শতাংশ প্রদেয় পরিমাণের ক্ষেত্রে জরিমানা হবে নির্দিষ্ট সুদের হারে পেনাল্টি চার্জ। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যদি কেউ কর জমা দিতে ভুলে যান, তবে পরবর্তী সময়ে রিটার্ন ফাইল করলে বকেয়া করের উপরে মাসিক ভিত্তিতে সুদ গুনতে হবে। পুরো কর মিটিয়ে দেওয়া হলেও সুদ থেকে ছাড় মিলবে না। তাই জরিমানা এড়াতে ডেডলাইনের মধ্যেই বকেয়া অগ্রিম কর মিটিয়ে দেওয়াই ভালো।












