বাংলাহান্ট ডেস্ক: দিল্লির বিস্ফোরণকাণ্ডে (Delhi Blast) নতুন মোড়—তদন্ত এগোতেই ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Al Falah University) যোগ উঠে আসছে বারবার। ইতিমধ্যেই বিস্ফোরণ এবং বিস্ফোরক মজুতের অভিযোগে ধৃত একাধিক চিকিৎসকের সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযোগ সামনে এসেছে। এবার আল ফালাহ–যোগে এনআইএ-র জালে ধরা পড়লেন বাংলার এক তরুণ চিকিৎসক। উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা থেকে আটক করা হয়েছে জানিসর আলম নামে এক এমবিবিএস ডাক্তারকে, যাকে অনেকেই ‘জিগর’ নামে চিনতেন।
দিল্লিতে বিস্ফোরণের (Delhi Blast) ঘটনায় ধৃত বাংলার এক চিকিৎসক
এনআইএ সূত্রের খবর, জানিসর ২০২৪ সালে ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। এরপর এমডি পড়ার জন্য চণ্ডীগড়ে যান। চলতি মাসেই বাড়ি ফেরেন তিনি। দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে তাঁর নাম ওঠায় এনআইএ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। এই ঘটনার আগে ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত একাধিক চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্দেহ, এদের অনেকেই ফরিদাবাদ মডিউলের সঙ্গে যুক্ত থেকে বিস্ফোরক মজুত করা, বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা এবং অস্ত্র পরিবহনে সাহায্য করছিল।
আরও পড়ুন:টাকা বাঁচান, খাবার নষ্ট হওয়া আটকান! জাপানি টোটকা ব্যবহার করে ফ্রিজে সবজি রাখুন অনেকদিন
তদন্তকারীদের দাবি, আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকরাই ফরিদাবাদের একটি গোডাউনে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত করছিল। ধৃত মুজাম্মিলের সূত্র ধরেই উদ্ধার হয়েছে অস্ত্রের পাহাড়। আবার দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত আই-২০ গাড়িটিও দীর্ঘদিন ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে পার্ক করা ছিল বলেই অভিযোগ। এসব তথ্য সামনে আসতেই তদন্তের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকমণ্ডলী।
যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ধৃতদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতার তীব্র নিন্দা করেন। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, ধৃতদের অনেকেই বহুদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়কে আড়াল হিসেবে ব্যবহার করছিল। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের পরিকল্পনায় যুক্ত সন্দেহে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণরা এখন গোটা তদন্তের অন্যতম মূল ফোকাসে।

আরও পড়ুন:রবি থেকেই উঠে যাচ্ছে বুকিং কাউন্টার, তার আগে শনিবার ফের মেট্রো বিভ্রাট, তুঙ্গে যাত্রী ভোগান্তি
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল, ছাত্র, চিকিৎসক মিলিয়ে ইতিমধ্যেই ৫২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় জানিসর আলম ঠিক কী ধরনের নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং ফরিদাবাদ মডিউলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কতটা গভীর। তার বাইরে তাঁর কাছ থেকে বিস্ফোরণ সংক্রান্ত আরও কোনও সন্দেহজনক তথ্য পাওয়া গিয়েছে কি না, তা এখনও জানায়নি এনআইএ।
দিল্লি বিস্ফোরণ, বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনা এবং আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র-চিকিৎসকের গ্রেফতারের পর গোটা প্রতিষ্ঠানটি এখন গোয়েন্দাদের কঠোর নজরদারিতে। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে বিস্ফোরক তথ্য—আর সেই সূত্রেই আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় এখন জাতীয় নিরাপত্তা তদন্তের কেন্দ্রবিন্দুতে।












