বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর (RG Kar) কাণ্ডের প্রতিবাদে সামিল গোটা শহর। আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ফুঁসছে গোটা রাজ্য। দিন দিন প্রতিবাদের আগুন যেন আরও বাড়ছে। আজও জোড়ালো আন্দোলনে নেমেছে কলকাতার সহ গোটা রাজ্য। তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে এদিন আলো নিভিয়ে চলে প্রতিবাদ। এক নজিরবিহীন আন্দোলন। একদিকে জুনিয়র চিকিৎসকদের টানা বিক্ষোভ, অন্যদিকে রাস্তায় বেরিয়ে বিচার চাইছে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষ। এরই মাঝে ৪ সেপ্টেম্বর আরজি করের (RG Kar Murder Case) জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে এসে সামিল হল নির্যাতিতার পরিবার। এক আলাদা মাত্রায় পৌঁছে গেল আন্দোলন। এদিন হাসপাতালের আন্দোলনমঞ্চে একটি সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দেয় নির্যাতিতার পরিবার। সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ শোনা গেল তাদের গলায়। ফেটে পড়ল ক্ষোভ।
তিলোত্তমা হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের দাবির পাশাপাশি উগরে দিলেন বুকে জমে থাকা ক্ষোভ, অভিমান। এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে নির্যাতিতার দাদা বলেন, ‘আমিই এই অভাগী অভয়ার দাদা, এই বছর রাখিটা বাঁধতে পারিনি।’ পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি তুলে তিনি বলেন, “কেন যে দেহটাকে হাসপাতাল থেকে বের করার এত কী তাড়া ছিল প্রশাসনের। আমরা বুঝতে পারিনি।’
“বডিটা বের করার সময় প্রশাসনকে অনেকবার বারণ করেছিলাম। একটু সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু দেয়নি। বডিটা বের করার জন্য বা, দাহ করা জন্যই এত কী তাড়া ছিল। আমাদের সময় দেয়নি প্রশাসন। কোনো সুযোগ দেয়নি।” বললেন নির্যাতিতার দাদা।
নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘সেই দিন (গত ৯ অগস্ট) আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। আমরা দেহটা রেখে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের উপরে এতটাই প্রেশার তৈরি করা হয়েছিল। টালা থানায় গিয়ে আমরা এক ঘণ্টা বসেছিলাম।’ এখানেই শেষ নয়, তিলোত্তমার বাবার দাবি, ‘কেন শ্মশানের খরচ ফ্রি করে দেওয়া হল? কে দিল? ডিসি নর্থ আমাদের ঘরের গলিতে গিয়ে টাকা দেওয়া চেষ্টা করেন। যা বোলার তখনই বলে দিয়েছিলাম।’
তিলোত্তমার কাকিমার বিস্ফোরক দাবি, ‘সেই সময় ঘরে এসে টাকা অফার করছে পুলিশ। বডি পড়ে রয়েছে। আর পুলিশ এসে টাকা অফার করছে। এটাই কি পুলিশের মানবিক মুখ?’ প্রশ্ন ছুড়ে দিল মৃতার পরিবার। তিনি আরও বলেন, বডি যখন বের করা হয়, আমরা গাড়িতে উঠতে যাচ্ছিলাম। সেই সময় পুলিশ ধাক্কা দেয়। বলে তারা এখানে কেউ উঠতে পারবে না।’
‘পুলিশ বাধা দেওয়ায় আমরা ম্যাটাডোরে উঠি। সেটা করে কিছুটা যাওয়ার পরে ওর বাবাকে ফোন করি। ওনারা তখন টালা থানায় আছি। বাড়ির সামনে বডি রাখা হয়েছিল প্রায় দেড় ঘণ্টা। পরিবারের কেউ ছিলেন না। এক কাউন্সিলর ছিলেন। আমাদের বাড়িতেও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। পরে অন্য একজন পুলিশ আধিকারিক ঢোকার অনুমতি দেন।’ এখানেই প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে…