বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে সবথেকে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় স্টকের অভাব, যার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ চেষ্টার পরেও রোগীকে বাঁচাতে পারেন না চিকিৎসকরা। একই সমস্যা হয় কিডনি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রেও। রিসার্চ অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ভারতেই প্রায় ২ লক্ষ রোগী রয়েছেন যাদের কিডনি প্রতিস্থাপন করা দরকার, কিন্তু ইচ্ছুক দাতার সংখ্যা মাত্র ১৫০০০। বোঝাই যাচ্ছে, এই কারণে অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসকদেরও কিছু করার থাকেনা। তবে এবার আবিষ্কৃত হল এক অভিনব পদ্ধতি, যা এই সমস্যার অনেকটাই সমাধান করবে।
ফের একবার অব্যাহত রইল বিজ্ঞানের জয়যাত্রা। সফলভাবে শুকরের কিডনি মানুষের দেহে প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করলেন বিজ্ঞানীরা। নিউইয়র্ক এর এই ঘটনা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের আশার আলো হিসেবে দেখা দিয়েছে। রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী নিউইয়র্ক সিটির এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গোন হেলথ -এ একজন কোমাটোজ রোগী একই সঙ্গে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। রোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে লাইফ সাপোর্ট বন্ধ করার আগে এই পাইলট প্রোজেক্টের জন্য তাকেই বেছে নেন চিকিৎসকরা।
প্রাথমিক পর্যায়ে, শুকরের কিডনিটিতে বেশকিছু জিনগত পরিবর্তন ঘটানো হয়, যাতে তা মানুষের ইমিউন সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত করা যেতে পারে এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে কোনরকম অসুবিধা সৃষ্টি না হয়। তবুও এই প্রোজেক্টের জন্য শুরু থেকেই ভীষণরকম সর্তকতা বজায় রেখেছিলেন চিকিৎসকরা। এমনকি প্রতিস্থাপনের পরেও কিডনিটি শরীরের বাইরেই রাখা হয়, কারন গবেষকরা দেখতে চেয়েছিলেন পরবর্তী ক্ষেত্রে এটি কাজ করা বন্ধ করে দেয় কিনা। তবে আশার কথা হল সফল হয়েছে বিজ্ঞান।
এই সফল প্রতিস্থাপনের পর রবার্ট মন্টগোমেরি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত রোগীর অবস্থা একেবারেই স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে। প্রত্যাশিতভাবেই অন্য যেকোন কিডনির মত এই কিডনিটিও প্রস্রাব তৈরি করতে এবং পরিস্রুত করতে সক্ষম। এই সাফল্য আগামী দিনে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে এমনটাই মনে করছেন তিনি।