বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মে মাসের প্রথম সপ্তাহ জুড়েই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা। আম্ফানের কারনেই ৮ মে পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভারি বৃষ্টি হতে পারে, এমনটাই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যে এই নিম্নচাপ কি বাড়িয়ে দেবে করোনার সংক্রমণ?
হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ডঃ জন নিকোলস জানাচ্ছেন, করোনা ভাইরাস পছন্দ করে না এমন তিনটি জিনিস রয়েছে: সূর্যের আলো, তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা।
নিকোলস আরো বলেন, “সূর্যের আলো ভাইরাসের অর্ধেকের মধ্যে বৃদ্ধি করার ক্ষমতা হ্রাস করবে, তাই অর্ধ-জীবন হবে 2.5 মিনিট, … ভাইরাসগুলি হত্যার ক্ষেত্রে সূর্যালোক সত্যিই ভাল,”। ডয়চে ভেল জার্মানি সেন্টার ফর এক্সপেরিমেন্টাল অ্যান্ড ক্লিনিকাল ইনফেকশন রিসার্চের ভাইরাসবিদ টমাস পাইটসমানও জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাস খুব বেশি তাপ-প্রতিরোধী নয়, যার অর্থ তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাইরাসটি দ্রুত ভেঙে যায়।
যদিও এই তত্ত্ব মানছে না ভারতের গবেষকরা, ন্যাশনাল ইনস্টটিউট ফর বায়োমেডিক্যাল জেনোমেটিক্স’-এর অধিকর্তা ও বিজ্ঞানী পার্থপ্রতিম মজুমদার বলেন, ‘‘বৃষ্টি ও গরমের সঙ্গে ভাইরাসের বাড়া-কমার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি এখনও পর্যন্ত নেই।’’
গত কয়েকদিন ধরেই আন্দামান সাফরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে, ভরা বৈশাখেও তাপমাত্রার পারদ সর্বাধিক রেখা ছুঁতে পারছে না। আবার ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আগমনের কারণে, বাতাসে আদ্রতা অপেক্ষা জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি রয়েছে। যার কারণে মঙ্গল, বুধবার প্রবল ঝড় বৃষ্টিসহ কালবৈশাখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বেশ কিছু অংশে।
গতকাল কলকাতা শহরের সকালে তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। মঙ্গলবার তাপমাত্রা থাকবে সর্বোচ্চ ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। বাতাসে জলীয় বাস্প থাকার দরুণ বেশ কয়েটি জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।