বাংলাহান্ট ডেস্ক: মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের আর্থিক উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, বাংলাদেশ ভারতের (India-Bangladesh) সঙ্গে সম্পর্কের সাম্প্রতিক শৈত্য কাটাতে সক্রিয়ভাবে উদ্যোগী হয়েছে। তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে যাওয়ার সুযোগ নেই এবং এই সম্পর্ক উন্নয়নের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসও এই বিষয়ে পুরোপুরি অবগত রয়েছেন। সালেহউদ্দিনের মতে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলমান ভারতবিরোধী কিছু প্রচারই দুদেশের সম্পর্কের অবনতির একটি বড় কারণ।
ভারতের সঙ্গে (India-Bangladesh) সম্পর্ক খারাপ করতে চায় না বাংলাদেশ!
ভারত-বাংলাদেশ (India-Bangladesh) সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ত্যাগ ও ভারতে আশ্রয় গ্রহণের পর থেকেই, যার প্রভাব দুদেশের রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উপর পড়ে। আমদানি-রফতানিতে কিছু বিধিনিষেধ আসলেও সালেহউদ্দিন জোর দিয়ে বলেন যে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক মূলত স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আলাদা করে দেখার পক্ষপাতী এবং তার মতে সরকার ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান-বাংলাদেশকে রণতরী-সামরিক সরঞ্জাম দিচ্ছে কোন দেশ? রাখঢাক না রেখে জানিয়ে দিল পেন্টাগন
সম্পর্কের এই উত্তাপের মধ্যেই একটি তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবে বাংলাদেশ মঙ্গলবার ভারত থেকে ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যা সালেহউদ্দিন সম্পর্ক উন্নতির ইতিবাচক লক্ষণ বলে মনে করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে অর্থনীতি থেকে স্বাস্থ্য পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। তিনি বলেন, “ভারত ছেড়ে ভিয়েতনাম থেকে চাল আনলে কেজিতে অন্তত ১০ টাকা বেশি খরচ হবে।” ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্তে দেরির জন্য তিনি আক্ষপ প্রকাশ করেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ পরিষ্কার জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারত হস্তক্ষেপ করে না, যদিও উভয় পক্ষই কখনো কখনো মতামত প্রকাশ করে থাকে। তিনি আরও যোগ করেন যে ইউনূস প্রশাসন আঞ্চলিক সহযোগিতায় বিশ্বাস করে এবং ভারতকে তাদের একটি বড় প্রতিবেশী হিসেবে দেখে। বাংলাদেশের নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ধীরে ধীরে সম্পর্কোন্নয়নের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

নির্বাচন ঘোষণার পর ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড এবং পরবর্তী সহিংসতা ও ভারতবিরোধী বক্তব্যের প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলে এবং বাংলাদেশের জাতীয় মনোভাব এমন নয়। তিনি স্পষ্ট করে দেন যে বাংলাদেশ কোনো প্রতিবেশী বা অন্য কোনো দেশের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক চায় না, বরং বন্ধুত্বপূর্ণ ও স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় রাখাই তাদের লক্ষ্য।












