বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত গত কয়েকদিন ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ধনকুবের ইলন মাস্কের (Donald Trump-Elon Musk) মধ্যে “বাকবিতন্ডা” রীতিমতো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এই আবহেই ফের সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, আমেরিকায় নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় উপস্থিত বলে সুর চড়িয়েছেন মাস্ক। শুধু তাই নয়, ট্রাম্পের “অত্যন্ত সুন্দর বিল” পাস হলে তার পরের দিনই “আমেরিকা পার্টি” নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন হবে বলে মাস্ক সমাজমাধ্যমে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। এদিকে, মাস্কের এহেন হুঙ্কারের কড়া জবাব দিতে দেরি করেননি ট্রাম্পও।
ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছে ট্রাম্প এবং মাস্কের (Donald Trump-Elon Musk):
মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, ভর্তুকির ওপরের টিকে থাকা মাস্কের সংস্থা যদি ভর্তুকি না পেত তাহলে তল্পিতল্পা গুটিয়ে মাস্ককে (Donald Trump-Elon Musk) দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরতে হত। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, মাস্ক বর্তমানে আমেরিকার নাগরিক হলেও তাঁর জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। এমতাবস্থায়, সেই প্রসঙ্গ টেনেই মাস্ককে কার্যত খোঁচা দিয়েছেন ট্রাম্প। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, দু’জনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে আমেরিকায় কর এবং ব্যয় সংকোচনের জন্য তৈরি একটি অর্থবিল নিয়ে। ট্রাম্প সেটিকে “অত্যন্ত সুন্দর বিল” হিসেবে বিবেচিত করলেও মাস্ক প্রথম থেকেই ওই বিলের কড়া সমালোচনা করে আসছেন।
শুধু তাই নয়, মাস্ক এটাও জানিয়েছেন যে, ওই বিল যদি আইনে পরিণত হয় সেক্ষেত্রে বহু মানুষের চাকরি চলে যাবে। এছাড়াও, ওই বিলটিকে মাস্ক রিপাবলিকান পার্টির “রাজনৈতিক আত্মহত্যা”-র সমান বলেও মনে করেন। এমতাবস্থায়, গত সোমবার সমাজমাধ্যমে এক পোস্টে মাস্ক (Donald Trump-Elon Musk) জানান, এই বিলটি আমেরিকার ঋণের পরিমাণকে রেকর্ড পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে দিতে পারে। তাই, সামগ্রিকভাবে সাধারণ মানুষদের কথা ভাববে এমন একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় আপনি উপস্থিত হয়েছে।
জানিয়ে রাখি যে, ওই বিল নিয়ে চূড়ান্ত ভোটাভুটির আগে মার্কিন সেনেটে সোমবার আলোচনা সম্পন্ন হয়। তারপরেই ফের নতুন রাজনৈতিক দলের প্রসঙ্গে সুর চড়িয়েছিলেন মাস্ক (Donald Trump-Elon Musk)। সমাজমাধ্যমে মাস্ক দাবি করেন, “যদি এই উদ্ভট বিলটি পাশ হয়, সেক্ষেত্রে পরের দিনই ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠিত হবে।” তিনি আরও জানান, “ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান দলের বাইরে আমাদের দেশে একটি বিকল্পের প্রয়োজন। যাতে দেশের সাধারণ মানুষ নিজেদের কণ্ঠস্বর খুঁজে পায়। তারপরেই ভর্তুকি নিয়ে মাস্ককে খোঁচা দেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: বাতিল হতে চলেছে রোহিত-বিরাটের ৩ টি ম্যাচ? একটা কারণেই বাড়ছে আশঙ্কা
শুধু তাই নয়, ট্রাম্প দাবি করেন যে, প্রেসিডেন্ট পদের জন্য তাঁকে সমর্থন করার অনেক আগে থেকেই মাস্ক এটা জানতেন যে ট্রাম্প বৈদ্যুতিন গাড়ির বিরোধী। এই প্রসঙ্গকে সামনে এনে ট্রাম্প জানান, “বৈদ্যুতিন গাড়ি সকলকে কিনতে বাধ্য করা উচিত নয়।” এমনকি, ভর্তুকি বন্ধ হয়ে গেলে মাস্কের (Donald Trump-Elon Musk) সংস্থার চরম পরিণতির ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “আর রকেট উৎক্ষেপণ, উপগ্রহ বা বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন থাকবে না। এতে আমাদের দেশের ভাগ্য ফিরবে।”
আরও পড়ুন: নতুন ফন্দি আঁটছে চিন-পাকিস্তান! ভারতের পড়শিদের একত্র করে…..সামনে এল “প্ল্যান”
ট্রাম্প বলেন, “এই বিষয়টি হয়তো আমাদের সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতর (DOGE)-কে এটি ভালো এবং কঠোর ভাবে দেখার জন্য বলা উচিত। এতে আমাদের অনেক অর্থ বাঁচাতে হবে।” এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে DOGE-র শীর্ষপদ প্রদান করেছিলেন মাস্ককে (Donald Trump-Elon Musk)। কিন্তু, সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় ওই পদ থেকে সরে যান মাস্ক।