নিজের নাম ‘অমর’ করে রাখার চেষ্টা! এবার নিজের নামে নামকরণ করলেন ১০০ গুণ শক্তিশালী রণতরীর

Published on:

Published on:

Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক: নিজের নামে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রনতরীর নামকরণ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মার্কিন নৌবাহিনীর বর্তমান যুদ্ধজাহাজগুলি সেকেলে হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করে নতুন ধরনের রণতরী নির্মাণের ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফ্লোরিডায় নিজের মার-আ-লাগো বাসভবন থেকে এই ঘোষণা করেন তিনি। ট্রাম্প জানান, আপাতত দু’টি নতুন যুদ্ধজাহাজ তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে ২০ থেকে ২৫টি এমন রণতরী নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এই নতুন প্রজন্মের যুদ্ধজাহাজগুলিকে ‘ট্রাম্প-শ্রেণি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে বলে জানান তিনি।

শক্তিশালী রনতরীর নামকরণ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)

ঘোষণার সময় ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, ১৯৯৪ সালের পর আমেরিকা কোনও নতুন যুদ্ধজাহাজ তৈরি করেনি এবং বর্তমানে ব্যবহৃত অনেক রণতরীই পুরনো ও ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তাঁর কথায়, শক্তিশালী নৌবহর এখন আমেরিকার অত্যন্ত প্রয়োজন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী আড়াই বছরের মধ্যেই প্রথম দু’টি যুদ্ধজাহাজ তৈরি হয়ে যাবে। নতুন এই রণতরীগুলি আকারে বড়, গতিতে দ্রুত এবং শক্তির দিক থেকে প্রচলিত মার্কিন যুদ্ধজাহাজের তুলনায় বহু গুণ বেশি কার্যকর হবে বলে দাবি করেন প্রেসিডেন্ট।

আরও পড়ুন: অশান্তির আবহে বাংলাদেশ ছাড়ার হিড়িক, ইউরোপ পাড়ি দিতে গিয়ে গ্রিসে আটক ৪৩৭ বাংলাদেশি

ট্রাম্প (Donald Trump) জানান, নতুন রণতরীগুলির ওজন হবে প্রায় ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০ টন। এগুলিতে অত্যাধুনিক অস্ত্রব্যবস্থা সংযোজিত থাকবে, যার মধ্যে রয়েছে লেজার প্রযুক্তি ও শব্দের থেকেও দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ক্ষমতা। পাশাপাশি হেভি মেশিনগান ব্যবহারের ব্যবস্থাও থাকবে। তাঁর দাবি, তুলনামূলক ভাবে কম ব্যয়ে ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ করেই যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকর ও ইতিবাচক ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, সাবমেরিন বাদ দিলে এই নতুন যুদ্ধজাহাজগুলিই সাধারণ রণতরীর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হতে চলেছে। আধুনিক প্রযুক্তি ও বিপুল অস্ত্রশস্ত্রের সংমিশ্রণে এগুলি আমেরিকার নৌক্ষমতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে নৌবাহিনীর সক্ষমতা ও প্রতিরোধ শক্তি উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে হোয়াইট হাউস সূত্রে জানানো হয়েছে।

Donald Trump named a warship after himself.

আরও পড়ুন:দু’বার ব্যর্থতা, তৃতীয় চেষ্টায় বাজিমাত, মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে IAS হলেন বিশাখা

তবে এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে চিনকে লক্ষ্য করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে জল্পনা উড়িয়ে দেন ট্রাম্প। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধির কথা স্বীকার করলেও তিনি স্পষ্ট জানান, এই পদক্ষেপ কোনও একটি দেশের বিরুদ্ধে নয়। ট্রাম্পের কথায়, “চিন নয়, এটা সবার বিরুদ্ধেই একটি পালটা প্রস্তুতি। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। আমরা শক্তি বাড়িয়ে শান্তি বজায় রাখতে চাই।” তাঁর এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।