বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভ্রমন প্রিয় মানুষদের মন চাতক পাখির মতন অপেক্ষায় থাকে ছুটির জন্য। আর ছুটি পেলেই পাহাড় কিংবা সমুদ্রে কয়েকদিনের জন্য ঘুরতে চলে যান অনেকেই। কিন্তু এ মাসে সেই ভাবে লম্বা ছুটি নেই। তাই মন কিছুটা খারাপ ভ্রমন প্রিয় মানুষদের। তবে আর কিছুদিন অপেক্ষা করলেই জমিয়ে রাখা ছুটি খরচ করে ঘুরতে যেতে হবে না। এইবছর ১৫ অগস্ট পড়েছে শুক্রবার। পরের দু’দিন শনি ও রবি। মানে পরপর তিনদিন ছুটি। এই ছুটিতে কাছে পিঠে কোথাও ঘুরতে চাইলে বেরিয়ে আসুন ডুয়ার্সের (Dooars) বুড়িখোলা (Burikhola) থেকে।
ডুয়ার্সের এক অল্প চেনা ঠিকানা বুড়িখোলা (Dooars)
ডুয়ার্সের শান্ত, ছিমছাম এই জায়গাটি অপরূপ সৌন্দর্যের অধিকারী। যেদিকেই তাকাবেন সেদিকেই বড় বড় মাঠ, গাছপালা। চোখ জুড়িয়ে যেতে বাধ্য আপনার। আর এই সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আপনি পৌঁছে যাবেন বুড়ি খোলার হোমস্টে-তে। হোমস্টের সামনে দিয়েই বয়ে চলেছে পাহাড়ি নদী। সেখান দিয়ে হাতির পাল চলেছে, সেই দৃশ্যেও চোখে পড়তে পারে। নদীর ওপারেই শাকামের জঙ্গল। হাতিদের আস্তানা সেখানেই। তবে এখানে রয়েছে একটি মাত্র হোমস্টে। বুড়িখোলায় থাকতে হলে আগের থেকে বলে আসা ভালো। ডামডিম হয়ে জঙ্গলপথে নিজেরা গাড়ি নিয়ে আসতে গেলে হোম স্টের লোককে সঙ্গে রাখা ভাল। জঙ্গলপথের সঙ্গে তাঁদের পরিচিতি বেশি।
এমনকি, এ পথে খেলে বেড়ায় ময়ূরের দল। গান গায় পাখিরা। হাতছানি দেয় পাহাড়, তিরতির করে বয়ে চলে নদী। ডুয়ার্সের গহীনে বয়ে চলেছে বুড়ি নদী, সেখানেই রয়েছে বুড়িখোলা নামের জায়গাটি। বর্ষায় বুড়িখোলা ঘন সবুজ। তবে বর্ষার শেষে গেলে প্রবেশ করা যায় ঘন জঙ্গলে। বুড়িখোলার সৌন্দর্য অবশ্য শুরু হয়ে যায় মালবাজার পার করে গরুবাথানের দিকে খানিক এগোলেই। মসৃণ পিচের রাস্তার দু’পাশে সবুজের আহ্বান। ডামডিম-গরুবাথানের রাস্তা ধরে এগোলেই হাতছানি দেয় পাহাড়। তবে গন্তব্যে পৌঁছতে গেলে বেঁকে যেতে হবে গরুবাথান ঢোকার আগেই ডান হাতে।
এখানে বসলে অবসাদ সারানোর জন্য ওষুধ লাগবে না। মনোরম হাওয়ায় চুপচাপ বসে শুনতে পারেন জলস্রোতের শব্দ। কপাল ভাল থাকলে বয়ে যাওয়া নদীতেই দেখতে পাবেন হাতির পাল। সপরিবার জল খেতে আসে তারা। নদীর ওপারে রয়েছে শাকামের জঙ্গল। যেখানে প্রায় সব সময়েই হাতিদের আনাগোনা থাকে।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির নির্ধারিত বাংলো দখল! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর মুখ খুললেন চন্দ্রচূড়
বর্ষাকালে এখানে এলে ডুয়ার্সের শ্যামলিমা উপভোগ করলেও, জঙ্গল সাফারি করতে পারবেন না। কারণ, এই সময় জঙ্গল পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকে। তবে ১৫ সেপ্টম্বরের পর থেকে জঙ্গল খুলে যায়। তার পরে এলে শাকামের জঙ্গলও গাড়ি নিয়ে ঘোরা যাবে। এমনকি হাতে দুদিন সময় থাকলে, বুড়িখোলার সৌন্দর্য উপভোগ করে ঘুরতে যেতে পারেন লাভা (Lava) ও কালিম্পংয়ের (Kalimpong) কোনো গ্রামে।