বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এশিয়া কাপ ২০২৫ শুরুর আগে বড় ধাক্কা খেল ভারতীয় ক্রিকেট দল (Indian Cricket Team)। সূত্রের খবর, টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম প্রধান স্পনসর Dream 11 হঠাৎই স্পনসর দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, নতুন অনলাইন গেমিং আইন কার্যকর হওয়ায় ভবিষ্যতেও স্পনসর পাওয়া নিয়ে নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
ভারতীয় দলকে (Indian Cricket Team) স্পনসরশিপ দেওয়া কেন থেকে সরে যাচ্ছে Dream 11?
উল্লেখ্য, এশিয়া কাপ ২০২৫-র আগেই স্পনসরশিপ থেকে Dream 11 প্ল্যাটফর্মের সরে দাঁড়ানো ভারতীয় ক্রিকেট টিমের (Indian Cricket Team) জন্য বড় ধাক্কা। সূত্রের খবর, ভারতীয় টিমের সবথেকে বড় স্পনসর ছিল এই ফ্যান্টাসি স্পোর্টস প্ল্যাটফর্মটি। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন প্লাটফর্মটি এমন সিদ্ধান্ত নিল এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গিয়েছে এর নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের সংবিধান সংশোধনী বিল।
চলতি বাদল অধিবেশনেই সংসদে পাশ হয়েছে প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অব অনলাইন গেমিং বিল ২০২৫। এই বিল অনুযায়ী বলা হয়েছে, দেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলি যেখানে আসল টাকার লেনদেন হত। Dream 11-ও এমনই একটি প্ল্যাটফর্ম। কার্যতই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কারণে নিজেদের ব্যবসা ঘটাতে হচ্ছে Dream 11 প্লাটফর্মকেও।
যদিও অফিসিয়ালি এখনও কিছু ঘোষণা হয়নি, তবে বিসিসিআই সেক্রেটারি দেবজিৎ সাইকিয়া স্পষ্ট করে জানান যে, “বোর্ড দেশের আইন মেনেই চলবে। সরকারের অনুমতি নেই, এমন কিছু করা হবে না।” আবার শোনা যাচ্ছে, বিসিসিআই দ্রুতই নতুন করে বিড ডাকতে পারে। তবে যদি ৯ সেপ্টেম্বরের আগে নতুন লিড স্পনসর না পাওয়া যায়, তবে ভারতীয় টিম এশিয়া কাপে নামবে স্পনসরশূন্য জার্সি পরে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে ৩৫৮ কোটি টাকার চুক্তি করেছিল সংস্থাটি। হোম ম্যাচে ৩ কোটি এবং বিদেশে ম্যাচে ১ কোটি টাকার ভিত্তিতে এই চুক্তি হয়। কিন্তু সবশেষে সরকারের সিদ্ধান্তে তা ভেঙে গেল। কেন্দ্রীয় সরকারের কঠোর আইনের কারণেই ভারতীয় ক্রিকেটের টিমের (Indian Cricket Team) অন্যতম বড় স্পনসরকে বিদায় নিতে হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ মোদীর উদ্যোগেই সংবিধান সংশোধনী বিলে জুড়েছে প্রধানমন্ত্রী পদ, বড় তথ্য জানালেন কিরণ রিজিজুর
Dream 11-এর স্পনসরশিপ প্রত্যাহার ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য বড় আর্থিক ধাক্কা। এশিয়া কাপের আগে টিম ইন্ডিয়ার (Indian Cricket Team) জন্য নতুন স্পনসর খুঁজে পাওয়া না গেলে, তা শুধু অর্থনৈতিক নয়, ব্র্যান্ড ইমেজের ক্ষেত্রেও এটা প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন নজর বিসিসিআইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।