প্রয়োজনের অতিরিক্ত নয়, জল খান বয়স ও ওজন অনুযায়ী

বাংলাহান্ট ডেস্ক: কথায় বলে, জলের অপর নাম জীবন। জল বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য। মানুষের শরীরের ৭০ শতাংশই জল। তাই সেই জলের পরিমাণের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রতিদিন নিয়ম করে খাওয়া উচিত যথেষ্ট পরিমাণে জল। শরীর থেকে দূষিত পদার্থের অপসারন, পরিপাক, দেহের তাপমাত্র নিয়ন্ত্রণ ও সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কাজ ঠিক রাখতে সাহায্য করে জল। তবে বয়স ও দেহের ওজনের অনুপাতে খাওয়া উচিত জল।

অনেকেই মনে করেন দিনে পাঁচ-ছয় লিটার জল পান করা উচিত। কিন্তু সেই অনুপাতটা মেনে চলেন এমন মানুষ খুব কমই আছেন। কেউ কেউ প্রচুর জল খান আবার কেউ কেউ প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই জল খান না। চিকিৎসকরা বলেন, একজন সুস্থ মানুষের দিনে অন্তত তিন লিটার জল পান করা উচিত। নিজের ওজন বুঝে জল খাওয়া উচিত। নিজের যা ওজন সেই সংখ্যাকে ৩০ দিয়ে ভাগ করুন। যা ভাগফল আসবে সেই পরিমাণ জল খান দিনে। অর্থাৎ আপনার ওজন যদি ৬০ কেজি হয় তাহলে দৈনিক ২ লিটার জল পান করা উচিত। এছাড়া দৈহিক পরিশ্রমের ওপরেও জল খাওয়ার পরিমাণ নির্ভর করে। পরিশ্রম করার পর জল বেশি করে খাওয়া উচিত।

water drinking plastic bottle thinkstockphotos

অনেকেই ভাবেন বেশি করে জল খেলেই শরীরের সব রোগ সেরে যাবে। আসলে তা নয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত যেকোনও জিনিসই শরীরের পক্ষে খারাপ। একজন নিরোগ মানুষ প্রয়োজনের অতিরিক্ত জল খেলে কিডনি ও লিভারের পরিশ্রুতকরনের কাজে ব্যঘাত ঘটতে পারে। অনেকে আবার পেটের গন্ডগোলের সময় জল খাওয়াই বন্ধ করে দেন। এতে উলটে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।

How drinking water at regular intervals can help you lose weight and increase your metabolism

তবে শুধু যে পানীয়ের মাধ্যমেই শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ হয় তা কিন্তু নয়। দৈনন্দিন খাবারের কঠিন খাদ্যবস্তুর মাধ্যমেও শরীরে জল প্রবেশ করে। তাই মেপে জল খাওয়া উচিত। এছাড়া অসুস্থতার কথা বিচার করে সেই অনুযায়ী জল খেতে বলেন চিকিৎসকরা। কিডনির অসুখে কিডনির মধ্যে ঠিকঠাক জল প্রবেশ না করলে জল কম খেতে বলা হয় রোগীকে। আবার শরীর থেকে বেশি জল বেরিয়ে গেলে জলের পরিমাণ বাড়াতে বলা হয়। হার্টের অসুখের ক্ষেত্রেও অ্যানজিওপ্লাস্টি বা কার্ডিয়াক স্ট্রোক হলে জল বেশ করে খেতে বলা হয় কারন তখন হার্টের পাম্প করার ক্ষমতা কমে যায়।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর