জল কম খাওয়া থেকে আমাদের শরীরে নানা সমস্যা বাসা বাধতে শুরু করে। শারীরিক পরিশ্রম বেশি করে, জিম করে, খেলাধুলো করে, তাঁরা একটু বেশিই জল খেলে ভালো হয়। আর যদি কারো কিডনিতে পাথর থাকে তার ক্ষেত্রে বেশি জল খাওয়া দরকার। শীতকালে জল কম খেলে পায়ে টান ধরে, দেহে জলের পরিমান কমে যায় , ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। মনে রাখা দরকার নদীর জলের থেকে কুয়োর জল খাওয়া বেশি ভালো।
তাই জল খাওয়ার সময় এই জিনিস গুলি মনে রেখে চলতে ঘবে।গরমে কতটা জল খেতে হবে তা আগেই বলা ভালো আট থেকে প্রায় নয় গ্লাস। সকালে খালি পেতে জল খাওয়া দরকার । যেমন ঘাম ও মূত্রের মধ্যে দিয়ে শরীরের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে জল। আর গরম জল শরীরে তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। গরম জল শরীরে জলের সমতা ফেরায় আবার খাবারকে তাড়াতাড়ি পরিপাক করে ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।তাই ঠান্ডা জল গরম জল খাওয়ার আগে একবার দেখে নেওয়া উচিত। তবে সকালে উঠে জল খান এরকম লোক কম আছে। কারন ছটো ছেলে মেয়েরা ঘুম থেকে ঊঠেই জল খেতে চায় না সারা রাত ঘুমনোর কারণে সকালে আমাদের শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয় আর এরপরেই দেখা দেয় সমস্যা। কারন সকালের প্রথম ইউরিন গাঢ় রঙের হয়। দেহে জলের পরিমান কমে আসে সাথে সাথে শরীর শুকিয়ে যেতে দেখা যায়।
কিডনির কাজ হল শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেওয়া।তাই কিডনি ভালো রাখার জন্য বেশি করে জল খাওয়া দরকার। আর মাথায় রাখতে হবে, সারা রাত না খেয়ে খালি পেটে আবার বেশি জল খেলেও সমস্যা হতে পারে। কারন অনেকেরই বমির মতন সমস্যা দেখা যায়। তাই ঘুম থেকে উঠেই গ্লাস গ্লাস জল খাওয়া একদম উচিত নয়। মাথায় রাখতে হবে জল বুঝে খেতে হবে। আমাদের শরীরের ৭০%-ই জল দিয়ে তৈরি। তাই জল খাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ন।