বাংলা হান্ট ডেস্ক: কোথাও জলের কলে খাওয়ার জল নেই একটুও, কোথাও আবার কলের থেকে পড়ছে ঘোলা জল। গরম পড়তেই চন্দ্রকোনা পুরসভা এলাকায় জলসঙ্কট নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা থাকলেও তার সমাধান করতে ব্যর্থ হচ্ছে পুরসভা।
আর তার জেরেই ক্ষুব্ধ জনগণ পানীয় জলের দাবিতে এবার পথ অবরোধ শুরু করলেন। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বৈদ্যনাথপুর গ্রামে ঘটেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় মুখ্যমন্ত্রীর কর্মী সভায় যাওয়ার রাস্তায় অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। স্থানীয়দের বুঝিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে, ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি হাজির হন বিডিও অমিত ঘোষ।
জানা গেছে, গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রায় নয় মাস ধরে তাঁদের পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। বারংবার স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের জানিয়েও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। সূত্রের খবর, এদিন গ্রামের মহিলা থেকে শুরু করে ছোট ছোট বাচ্চারা হাঁড়ি কলসি নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। সকলেরই দাবি দ্রুত জলের দাবি পূরণ না করা হলে তাঁদের এই অবরোধ চলবে। আর এই অবরোধের জেরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আটকে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় যাওয়ার বিভিন্ন কর্মী সমর্থকদের গাড়ি।
বিডিও অমিত ঘোষ জানান, ”আমি গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আপদকালীন একটি তহবিল তৈরি করা হচ্ছে। সেখান থেকেই এই গ্রামে পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হবে। এই সমস্যার ব্যাপারে আমাদের আগেই অবগত করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত আধিকারিকদের সঙ্গে ইতিমধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। গ্রাম প্রধানের সঙ্গে আমি নিজে কথা বলে দেখব। খুব দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে। বৈদ্যুতিক বিল না মেটানোয় জলের পাম্প বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। সেই সমস্যা দ্রুত মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এখানে বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার জন্য গ্রামবাসীদের আবেদন জানিয়েছি।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার কর্মী সভা করার কথা রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই সভা থেকেই জেলার পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতির সূত্র বেঁধে দিতে পারেন নেত্রী।