বাংলাহান্ট ডেস্ক: রিয়া চক্রবর্তীর (rhea chakraborty) ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর (showik chakraborty) সঙ্গে মাদক চক্রের আরও গভীর যোগাযোগের প্রমাণ উঠে আসছে। মুম্বই থেকে ধৃত মাদক কারবারীদের জেরায় জানা গিয়েছে, নিজেই মাদকের কারবার শুরু করেছিলেন রিয়ার ভাই। তাঁর মাধ্যমে বলিউডে ঢুকে আরও পাকাপোক্ত মাদকের ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা ছিল মাদক কারবারীদের।
মুম্বই ও গোয়া থেকে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর জালে ধরা পড়েছে তিন মাদক কারবারী ও পাচারকারী, আবদুল বসিত, জায়েদ ও ফৈয়াজ। এদের মধ্যে বসিতের সঙ্গে মুম্বইয়ের একটি ফুটবল ক্লাবে রিয়ার ভাই শৌভিকের আলাপ হয় বলে জানা গিয়েছে NCB সূত্রে।
জানা গিয়েছে, ওই ফুটবল ক্লাবে নিজেই মাদকের ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন শৌভিক। বসিতের সঙ্গে তাঁর আলাপ গড়ায় বন্ধুত্বে। বসিতের মাধ্যমেই আরেক মাদক পাচারকারী কাইজান আহমেদের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। বসিতই নিয়মিত শৌভিককে মাদক সরবরাহ করত বলে জানা গিয়েছে NCB সূত্রে।
আরও বিষ্ফোরক তথ্য জানা গিয়েছে, রিয়া ও শৌভিকের মাধ্যমে বলিউডে আরও গভীরে ঢুকে ব্যবসা ফাঁদার পরিকল্পনা ছিল মাদক কারবারীদের। রিয়া ও শৌভিকের সঙ্গেই বিভিন্ন হেভিওয়েট পার্টিতে গিয়ে তারকাদের সঙ্গে পরিচয় করে মাদকের ব্যবসা করত এই ব্যবসায়ীরা।
অপরদিকে এক মাদক কারবারীর সঙ্গে শৌভিকের চ্যাটে অভিনেত্রীর ভাইকে বলতে দেখা গিয়েছে, ড্যাড মাদক চাইছেন। এই ‘ড্যাড’ কি আসলে রিয়া ও শৌভিকের বাবা না অন্য কোনও সাংকেতিক শব্দ তা জানতে দফায় দফায় ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীকে জেরা চালাচ্ছে সিবিআই।
চ্যাটে শৌভিককে লিখতে দেখা যায়, ‘একটা বুম চাই। বাবার দরকার। জানতাম না বাবার ‘মাল’ শেষ হয়ে গিয়েছে’। উত্তরে মাদক সরবরাহকারী লেখে, ‘আমারও শেষ। কাল নিয়ে আসছি।’
এই চ্যাট থেকে মনে করা হচ্ছে, রিয়া ও শৌভিকের বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী নিজেও মাদক সেবন করতেন এবং ছেলে মেয়ের এই নেশার বিষয়ে জানতেন। উল্লেখ্য, শৌভিকের চ্যাটের এই মাদক সরবরাহকারীকেই গ্রেফতার করেছে পুলিস।