বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েকদিন আগেই ২-ডিজি বা ২-ডি অক্সি ডিগ্লুকোজ নামক করোনা মুক্তির ঔষধ আবিষ্কার করে কোভিড যুদ্ধে ভারতকে নয়া রামবাণ উপহার দিয়েছিল তার দল। ডিআরডিওর তিন বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী সুধীর চন্দনা, অনন্ত নারায়ন এবং অনিল কুমার মিত্রের এই আবিষ্কার এখন রীতিমতো স্বপ্ন দেখাচ্ছে ভারতকে। এরই মধ্যে ফের একবার খবরে উঠে এলো ইনস্টিটিউশন অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্য়ান্ড অ্যালাইড সায়েন্সের বিজ্ঞানী সুধীর চন্দনার নাম। ডিফেন্স রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের তৈরী করণা মুক্তির ঔষধ দিয়ে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এবং এই ওষুধ যে রোগী সুস্থ তার হাত বাড়াতে ভীষণ রকম সাহায্য করেছে তা পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন তিনি।
সংস্থার তরফে তিনি জানান, “গত বছরের এপ্রিল মাসে ওষুধের প্রথম দফার পরীক্ষা করা হয়। এরপর ২০২১ মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার ট্রায়াল চলে। সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়ায়, ২০২০-র ডিসেম্বর থেকে ২০২১-এর মার্চ মাস পর্যন্ত চলে ওষুধের তৃতীয় ট্রায়াল।” এই ওষুধ ব্যবহারের ফলে এই মুহূর্তে রোগী সুস্থতার ক্ষেত্রে সময় অনেক কম লাগছে। শুধু তাই নয় তিনি এও জানান প্রথম দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল থেকেই ভালো ফল মিলেছে। দ্বিতীয় দফায় ১১০ তৃতীয় দফায় প্রায় ২২০ জন রোগীর উপর ওষুধের প্রয়োগ করা হয়। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ফলাফল আশাব্যঞ্জক। তাই সুরক্ষার বিষয়ে চিন্তা করার আদৌ কোনো কারণ নেই।
করোনা থেকে সুস্থতার ক্ষেত্রে ২-ডিজি যে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে চলেছে তা আগেই জানিয়েছিলেন ডক্টর অনন্ত নারায়ন। তিনি জানিয়েছিলেন যে প্রত্যেক শ্রেনীর জন্য মানুষ যাতে এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। তার জন্য এর দাম সাধ্যের মধ্যে রাখা হবে। ইতিমধ্যেই রেড্ডিজ ল্যাবের সঙ্গে যৌথ চুক্তিতে শুরু হয়েছে উৎপাদনের কাজ। সম্প্রতি ২-ডিজির ক্ষেত্রেও ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। তবে শুধুমাত্র জরুরী রোগীদের ক্ষেত্রেই এই ওষুধ ব্যবহার হবে বলে জানিয়েছে ডিআরডিও। ভ্যাকসিনের পাশাপাশি ডিআরডিও তৈরি করোনা মুক্তির ওষুধ গুলি রোগীদের দ্রুত সুস্থতার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে বলেই আশা সংস্থার। একদিকে যেমন করোনাকে রোগীর শরীরে মারাত্মক হয়ে উঠতে বাধা দেবে ভ্যাকসিন। তেমনি করোনা থেকে মুক্তির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ডিআরডিওর তৈরি ওষুধ গুলো ব্যবহার করা। অন্যান্য ওষুধের তুলনায় এক্ষেত্রে অনেক দ্রুত কাজ হবে বলেও দাবি বিজ্ঞানীদের।ux