ওষুধে কাজ হবে না, বিশ্বের জন্য সেই একটাই পরামর্শ দিল WHO

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মারণ ভাইরাস করোনা ভাইরাস (COVID-19) চীন ছাড়িয়ে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বিশ্ববাসী। স্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই রোগের প্রসারে বিগ্ন ঘটাতে, বিভিন্ন দেশে জারি করা হচ্ছে লকডাউন অবস্থা। ভারতে (India) আজ অর্থাৎ ১৪ ই এপ্রিল প্রথম দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকাল ১০ টায় জাতীর উদ্যেশ্যে বকৃতা দিয়ে জানালেন, ‘প্রথম দফা শেষ হওয়ার পর বাড়ছে এই লকডাউনের সময়সীমা। আগামী ৩ রা মে অবধি জারী থাকছে ভারতে লকডাউন অবস্থা। প্রয়োজনে এই সময়সীমা বাড়তেও পারে’।

corona virus getty

সংকটের মধ্যে থেকে বিশেষজ্ঞরা এবং চিকিৎসকরা সম্মিলিতভাবে এই মারণ ভাইরাসের প্রতিরোধের উপায় খুঁজে চলেছে। কেউ বলছেন ম্যালেরিয়া রোগের ওষুধ হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন কিছুটা হলেও এই ভাইরাসের প্রতিরোধ করে, আবার কারো মতে প্যারাসিটামল দিয়ে আক্রান্ত রোগীকে সাময়িক সুস্থ রাখা সম্ভব হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেও ভারত বিভিন্ন দেশকে তাঁদের প্রয়োজন মত চিকিতসাদ্রব্য, ওষুধ পথ্য এমনকি খাদ্যশস্য দিয়েও সাহায্য করছে।

এরই মধ্যে আবার WHO-এর প্রধান বলছেন, ‘আমরা জানি যে মারণ রোগ করোনা ভাইরাস খুব দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে। এটিকে মহামারির সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। ২০০৯ সালের সোয়াইন ফ্লু্তে বিশ্বে ১৮ হাজার ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু এই ভাইরাসের কারণে বর্তমানে বিশ্বে ১ লক্ষেরও বেশি মানুষের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়ে গিয়েছে। এই সংখ্যা দ্রুত গতিতে দেড় লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছে। বর্তমানে সোয়াইন ফ্লু্র থেকেও এই ভাইরাস বেশি মারাত্মক’।

RTS33OZD

এই পরিস্থিতিতে সকল দেশকেই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। দ্রুততার সাথে করোনা টেস্ট করে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তিদের হিস্ট্রি জেনে বাকিদেরও চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এই ভাইরাসের এখনও সঠিক প্রতিষেধক আবিস্কার করা সম্ভব হয়নি। এখনও ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লেগে যাবে এই ভাইরাসের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে। যতক্ষণ না পর্যন্ত সঠিক ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত লকডাউনই একমাত্র ভরসা। লকডাউনের মাধ্যমে মানুষকে গৃহবন্দি করে রেখে, এই ভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব হবে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর