বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) অপমানের জের সামলাতে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ (Maldives)। গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে উঠেছে বয়কটের ডাক। গণহারে মালদ্বীপ সফর বাতিল করছে ভারতীয় নাগরিকরা। একই সাথে টিকিট বাতিল করেছে ট্রাভেল সংস্থাগুলিও। আর এতেই নাভিশ্বাস উঠেছে মালদ্বীপের। মালদ্বীপ এখন দৈনিক কত কোটি টাকার ক্ষতি সামলাচ্ছে জানেন?
আসলে সুসজ্জিত এই দ্বীপরাষ্ট্রটির অর্থনীতি পুরোটাই পর্যটন নির্ভর। দেশটির অর্থনীতির প্রায় ৪০ শতাংশ আসে এই পর্যটন শিল্প থেকে। এই পর্যটকদের সিংহভাগই যায় ভারত থেকে। করোনার আগে বিপুল সংখ্যক চিনা পর্যটক গেলেও ২০২১ সালের পর থেকে ভারতীয় পর্যটকরাই মালদ্বীপের অর্থনীতিকে ধরে রেখেছিলে।
তবে বিগত কয়েকদিনে মালদ্বীপের পর্যটন শিল্পে রীতিমত ধস নেমেছে। হু হু করে কমছে পর্যটকের সংখ্যা। অন্যদিকে লাক্ষাদ্বীপকে নিয়ে মানুষের আগ্রহ এখন তুঙ্গে। গোটা বিশ্বেই এখন লাক্ষাদ্বীপকে নিয়ে চলছে চর্চা। সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে লাক্ষাদ্বীপ নিয়ে সার্চ। ৩৪ গুণ বেড়েছে লাক্ষাদ্বীপের সার্চ।
আরও পড়ুন : এক নম্বরে হাওড়া! দেশের সবথেকে নোংরা ১০ শহরের তালিকায় রেকর্ড পশ্চিমবঙ্গের, সবকটিই বাংলায়
গত বছরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালে ভারতীয় পর্যটকরা মলদ্বীপ ঘুরতে গিয়ে ৩৮০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৩১৫২ কোটি টাকা খরচ করেছিল। অর্থাৎ মালদ্বীপের অর্থনীতিতে বড় অবদান রেখেছিল মালদ্বীপ। ভারতীয়রা গণহারে মালদ্বীপ বয়কট করায় প্রায় দৈনিক ৮.৬ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে মালদ্বীপ।
আরও পড়ুন : ‘মায়ের গহনা বিক্রি করে কিনেছিলেন ক্রিকেট কিট’, ভারতীয় দলে ডাক পেয়ে কেঁদে ফেললেন ধ্রুব
ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়তেই ভারতের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে মালদ্বীপের ট্যুরিস্ট এজেন্সিরা। কমানো হয়েছে খরচ। অনলাইন বুকিং সাইট ঘাঁটলেই দেখতে পাবেন, মালদ্বীপ ভ্রমণের প্রায় ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে। কমানো হয়েছে বিমানের ভাড়াও। আগে যে টিকিটের দাম ছিল ২০ হাজার এখন তা পাওয়া যাচ্ছে ১২ হাজারে। কিছু কিছু সাইটে তো ৮২১৫ টাকাতেও টিকিট মিলছে।