বাংলা হান্ট ডেস্ক : স্বপ্ন ছিল তাইল্যান্ডের চাও ফ্রায়া নদীর মত দিঘাতেও (Digha) প্রমোদতরীতে (Cruise) চেপে সমুদ্রভ্রমণ হবে। প্রমোদতরীর সাজসজ্জাও প্রায় শেষ পর্যায়। সারা হয়ে গেছে দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়ালও। আশা ছিল নতুন বছরের শুরুতেই চালু হবে প্রমোদতরী। তবে আপাতত সবকিছুই বিশ বাঁও জলে। জীর্ণ জেটির কারণে দিঘার প্রমোদতরীর প্রকল্প আপাতত অথৈ জলে।
তাইল্যান্ডের মত দিঘাতেও প্রমোদতরীর বিনোদনের পরিকল্পনা করেছিল দিঘা- শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। ইতিমধ্যেই ন্যায়কালী মন্দির সংলগ্ন জেটি থেকে নদী পথে শঙ্করপুর বন্দর এবং দিঘা মোহনা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ জলপথে ট্রায়াল অবধি সারা হয়ে গেছে। জলপথে এই ভ্রমণ কতটা সুরক্ষিত তা নিশ্চিত করতেই চলছে ট্রায়াল। প্রমোদতরীটির নাম ‘এমভি নিবেদিতা’।
আরও পড়ুন : খাদ্য-ওষুধ আমদানি নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত! মুইজ্জুর ভারত বিদ্বেষের ফল ভুগবে গোটা মালদ্বীপ
দুর্গাপুজোর আগেই এই প্রমোদতরীটি দিঘায় পৌঁছায়। তার আগে জলযানটি হলদিয়াতে চালানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল। হলদিয়ায় পর্যটক চাহিদায় না থাকায় তা দিঘা পাঠায় রাজ্য পরিবহণ দফতর। প্রাথমিকভাবে পুজোর সময় চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হলেও পরে তা স্থগিত করা হয়। বলা হয় জেটি নির্মাণের কাজ এখনও বাকি রয়েছে। বলা হচ্ছে, ন্যায়কলি মন্দির থেকে জেটি পর্যন্ত রাস্তার অনেকটাই যাতায়াতের যোগ্য নয়।
পর্ষদ সূত্রে খবর, রাস্তার অবস্থা এতটাই ভঙ্গুর ছিল যে, এই পথে হাঁটা বিপজ্জনক। এছাড়া বাঁধ থেকে জেটি অবধি যাওয়ার পথটাও ভালো নয়। লোহার জেটির অধিকাংশ জায়গাতেই মরচে পড়েছে। আর এইসব কারণেই আপাতত প্রমোদতরী চালানো হবেনা বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এইদিন দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তনবীর আফজল বলেন, ‘‘নতুন করে জেটি শনাক্তকরণ চলছে। তারপর দিঘায় প্রমোদতরী চালু করা হবে।’’