৩০০০ অভিযুক্তের মধ্যে গ্রেফতার মাত্র ৪! শাহজাহান-কাণ্ডে রাজ্য পুলিশকে কড়া দাওয়াই হাইকোর্টের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সন্দেশখালি কাণ্ডে এখনো অধরা শেখ শাহজাহান। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার ১০ দিন কেটে যাওয়ার পরেও মূল অভিযুক্তকে পুলিশ ধরতে ব্যর্থ। এই অবস্থায় বিরোধীরা অভিযোগের আঙুল তুলছে পুলিশের দিকে। এবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি উষ্মা প্রকাশ করলেন পুলিশের ভূমিকায়।

রাজ্য পুলিশকে আদালত জিজ্ঞাসা করল যে ঘটনায় ৩০০০ জন অভিযুক্ত, সেখানে কেন মাত্র চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে? এমনকি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের প্রশ্ন, কেন এখনো আদালতে আত্মসমর্পণ করছেন না শেখ শাহজাহান? এছাড়াও নির্দেশ থাকার পরেও কেস ডায়রি না নিয়ে যাওয়ার জন্যও আদালতের ভর্ৎসনার শিকার হতে হয় রাজ্য পুলিশকে।

আরোও পড়ুন : মাধ্যমিক পাশ মহিলাদের এবার সোনায় সোহাগা! চাকরি দেবে রাজ্য, দেখুন আবেদন পদ্ধতি

ইডির পক্ষ থেকে গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে। এর আগের শুনানিতে আদালত পুলিশের কাছে কেস ডায়রি তলব করে। এদিন কেস ডায়রি নিয়ে না উপস্থিত হওয়ায় আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য পুলিশ। আজ বিচারপতি বলেন, “পুলিশ এতদিন ধরে কী করেছে, সেটা কেস ডায়েরি দেখেই বোঝা সম্ভব। মঙ্গলবার কেস ডায়েরি আনতে হবে পুলিশকে।”

আরোও পড়ুন : ৫ বছরে ৩০ কোটি আয়ুষ্মান যোজনায় নাম! নয়া রেকর্ড কেন্দ্রের, সবথেকে এগিয়ে এই রাজ্য

বিচারপতি এজি-কে মন্তব্য করেন, “সৎ ভাবে বিচার দেওয়ার ইচ্ছে থাকলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুন। তিন হাজার অভিযুক্ত, আর চার জন গ্রেফতার? ৩০৭ ধারা কেন যোগ হয়নি? এখনও কেন ন্যাজাট থানার পলিশকে তদন্তে রাখা হয়েছে? এতদিনেও মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার করা হয়নি কেন?” এর উত্তরে এজি বলেন, সেদিন ৩০০০ লোক ছিল না। সেখানে ছিল ৮০০-১০০০ জন মতো।

large high court on sandeshkhali

এছাড়াও এজির দাবি, ইডি আধিকারিক তাঁদের বলেছিলেন, যে তাঁদের ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল সেদিন, তাই দেওয়া হয়নি ৩০৭ ধারা। ইডি-র আইনজীবী এস ভি রাজু আজ আদালতে বলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের থেকে নাম পাওয়া গেছে শঙ্কর আঢ্য ও শেখ শাহজাহানের। পরে আবার থানায় এফআইআর হয় ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই। সিবিআইকে দেওয়া হোক গোটা ঘটনার তদন্তভার।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর