বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রতিবারের মতো এবারও দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) উপলক্ষে পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার। অনুদান বাবদ প্রতিটি কমিটি পেয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার সহায়তা। আর সেই সরকারি টাকার প্রেক্ষিতেই পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে পূজোর চাঁদা দেওয়া নিয়ে দেখা দিল নতুন বিতর্ক। ওই এলাকারই বাসিন্দা এক মহিলা এলাকায় পোস্টার সাঁটিয়ে আবেদন জানিয়েছেন যে, যেহেতু পুজো কমিটিগুলি অনুদান পেয়েছে, তাই তাঁরা যেন আর চাঁদা না চায়।
দিদি পুজোর (Durga Puja 2025) জন্য অনুদান দিয়েছেন, সেখানে চাঁদা কিসের? দাবি সুজাতা মাইতির
সূত্রের খবর, ওই মহিলার নাম সুজাতা মাইতি। ওই মহিলার স্পষ্ট বক্তব্য, যখন সরকার প্রতি কমিটিকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অনুদান দিচ্ছে, তখন পুজোর (Durga Puja 2025) জন্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের দরকারই পড়ে না। তিনি খানিকটা ক্ষোভের সুরে বলেন, “দিদি তো সবাইকে চাঁদা দিয়েছে, তবুও কেন প্রতিদিন আমাদের বাড়িতে এসে টাকা চাইছে?”
ওই মহিলা রাজ্যের বর্তমান শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ করে বলেন, “রাজ্যে চাকরি নেই! যোগ্যরা কোনও নিয়োগ না পেয়ে পাঁচ বছর বসে রয়েছে। সেখানে কিসের পুজো? সেই টাকা যদি তাঁদের কাজে লাগানো যেত, অনেক বেশি ফলদায়ী হত।”
সুজাতার অভিযোগ, তাঁদের বাড়িতে প্রায় প্রতিদিনই চাঁদার জন্য ক্লাবের সদস্যরা আসছে। একবার একটি ক্লাব দাবি করেছিল, তারা নাকি সরকারি অনুদান পায়নি। কিন্তু পরে তিনি শোনেন, সেটি আসলে মিথ্যা কথা। প্রতিবছরই তাঁদের কাছ থেকে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা চাঁদা নেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ বাংলার ২২ লক্ষ পরিযায়ী নিয়ে নড়েচড়ে বসল কমিশন, জেলাশাসকদের কাছে গেল বিশেষ চিঠি
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকেই দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) অনুদানের প্রথা শুরু করেছিল তৃণমূল সরকার। শুরু থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, কেন একটি ধর্মীয় উৎসবের জন্য সরকারি টাকা দেওয়া হবে? তবু বিতর্ককে পিছনে ফেলে প্রতিবছরই বেড়েছে অনুদানের অঙ্ক। এ বছর সেই অর্থ পৌঁছে গিয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজারে। এরফলে, মহিষাদলের ওই মহিলার পোস্টার পুজোর অনুদানকে আরও বিতর্কে মুখে ঠেলে দিয়েছে।