বাংলা হান্ট ডেস্ক: পুজোর এখনো বাকি সাত দিন। প্রতি জায়গায় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। সেইখানে টেংড়া শীল লেনের দাস বাড়ির ছবি একেবারেই অন্য। সেখানে হচ্ছে মায়ের আরাধনা। পাশাপাশি চলছে ঢাকের তাল, মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে শুরু হয়েছে সেই বাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja)। কারণ এই বাড়িতে পৌরাণিক প্রথা মেনে আদ্রা নক্ষত্রে শুরু হয়ে গিয়েছে পুজো। আর এই পুজো চলবে শুক্লা নবমী পর্যন্ত। এই পুজো ঘিরে পুরো পরিবার মেতে উঠেছে আনন্দে।
রীতি মেনে মহালয়ার আগে দুর্গা আরাধনা শুরু ট্যাংরা দাস বাড়িতে (Durga Puja)
জানা যায়, বাড়ির পুজো (Durga Puja) করেন এ বাড়ির ছেলে প্রসেনজিৎ দাস। তার দিদি মৌমিতা পেশায় চিকিৎসক। ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে মরিয়া এই দুই ভাই বোন। তাদের অত্যন্ত ঝোঁক রয়েছে এই পুজো চর্চায়। পাশাপাশি তারা পুরাণ, বেদ ও উপনিষেদ করতেও ভালোবাসেন।
আরও পড়ুন: পুজোর নবমীতে বিশেষ মেনু মাটন চাঁপের স্বাদে জমবে উৎসব, রইল রেসিপি
তারা রাধা কৃষ্ণের ঘরের পাশে দেবীর (Devi) আরাধনা করেন। এখানে মা দুর্গা পূজিত হন কন্যা হিসেবে। স্বস্তিক সন্ধ্যায় আমন্ত্রণ অধিবাস। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত চলে মহা পুজো। এমনকি এইখানে সপ্তমী থাকে নবমী পর্যন্ত চাল কুমড়ো বলি দেওয়ার প্রথা রয়েছে। বলিস সময় দেবে প্রতিভার সামনে অন্য কাউকে বসতে দেওয়া হয় না। কারণ মনে করা হয় সেই সময় দেবী রুদ্র মূর্তি ধারণ করেন।
এখানে অষ্টমীতে অন্নভোগ হয় না। নবমিতা করা হয় কুমারী পুজো। দশমীর দিন পান্তা ও কচুর লতি দেওয়া হয় দেবীকে ভোগের জন্য। তারপরেই মন ভার করে বিদায় জানানো হয় মা দুর্গাকে। তবে টেংরা শীল লেন দাস বাড়ির সদস্যরা কাজের জন্য বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকলেও। পুজোর এই কটা দিন আনন্দ মেতে ওঠেন। নিজেরাই ভোগ রান্না করে মাকে অর্পণ করেন।
এবং এই বিষয়ে ওইপারের পুত্রবধূ রিমা দাস জানান, কৃষ্ণ নবমী থেকে পুজো শুরু যেন বাড়তি পাওনা। মেয়ে হিসেবে দেবীকে এখানে আরাধনা করা হয়। আমরা যেরকম নিজেরা খাওয়া দাওয়া করি। তেমনি দেবীর ভোগেরও ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি দেবীর (Durga Puja) শয্যার বন্দোবস্ত করা থাকে। এছাড়া সকালে জাগিয়ে মায়ের মুখ ধোয়ানোর বন্দোবস্ত করা রয়েছে।