বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো (Durga Puja) আসন্ন আর তার কয়েকদিন পূর্বে এদিন কলকাতার (Kolkata) বেশ কয়েকটি পুজো প্যান্ডেলের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একইসঙ্গে এ বছর রাজ্য বিজেপির পুজো উদ্বোধনের পাশাপাশি আরও দুটি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সূত্র মারফত আপাতত এই খবর মিলছে। এক্ষেত্রে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পাশাপাশি সল্টলেকের আরো একটি পুজোর উদ্বোধন করতে চলেছেন শাহ।
সূত্রের খবর, আগামী রবিবার বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল দিল্লি থেকে কলকাতায় আসতে চলেছে এবং এরপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কলকাতায় আসার দিনক্ষণ স্থির করা হবে। তবে জানা যাচ্ছে, সম্ভবত তৃতীয়া কিংবা চতুর্থীতে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করতে আসতে পারেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত দুই বছর করোনার কারণে ধুমধাম করে পালন করা যায় নি দুর্গাৎসব। তবে এবছর করোনার প্রকোপ কমায় অন্যান্য বছরগুলির মতই পালন করা হতে চলেছে বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসব। এদিন শ্রীভূমি, টালা প্রত্যয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও আগামীতে আরও বেশ কয়েকটি পুজো প্যান্ডেলের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
অপরদিকে পিছিয়ে নেই বিজেপি-ও। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিজেপি নেতা স্বজল ঘোষের সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার এবং সল্টলেকের একটি প্যান্ডেলের পাশাপাশি রাজ্য বিজেপির পুজোর উদ্বোধন হতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাত ধরে। এক্ষেত্রে ২০২০ সালে একটি পুজোর উদ্বোধন করতে কলকাতায় এসেছিলেন অমিত শাহ। সেক্ষেত্রে অবশ্য ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই বিজেপি পুজো উদ্বোধনের কৌশল নিয়েছিল বলে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দেয় তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে একের পর এক দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলরা হেফাজতে। এই পরিস্থিতিতে পুজোর উদ্বোধনে অমিত শাহের উপস্থিতি বঙ্গ রাজনীতিতে যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মহালয়ার ঠিক তিনদিন আগে এদিন একাধিক পুজো উদ্বোধন করতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এক্ষেত্রে শ্রীভূমি পুজো প্যান্ডেলের উদ্বোধন করতে গিয়ে মন্ত্রী সুজিত বসুকে হুঁশিয়ারিও দিয়ে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, “একটাই অনুরোধ করছি, পুজোর সময় রাস্তা যেন বন্ধ না হয়। মানুষ প্লেন ধরতে সক্ষম হলো না কিংবা কোথাও যেতে অসুবিধা হলো, সেই রকম ঘটনা যেন না ঘটে। সেই সূত্রে পুজোর সময় যাতে সকল রাস্তা সচল রাখা যায়, তা দেখতে হবে।”