বাংলা হান্ট ডেস্ক: সামনেই দুর্গাপুজো (Durga Puja)। এই পূজা উপলক্ষে বাইরে বেরিয়ে নানান ধরনের খাবার দাবার খাওয়া হয়। তবে অন্যান্য খাবার খেলেও ফুচকা না খেলে যেন ঠিক জমে না। পুজোর ঠাকুর দেখতে দেখতে টুকটাক দোকান থেকে ফুচকা ব্রেক যেন ম্যানডেটরি। ঝাল ঝাল আলুর পুর ভরা টক জলে দেওয়া ছোট লুচির মতন জিনিসটি মুখে পড়লে মন যেন ভরে যায়। তবে আপনারা জানেন কি কলকাতায় রয়েছে, ১০ টি বিখ্যাত স্বাদের ফুচকার দোকান। আজকের প্রতিবেদনে সেই দশটি দোকানের কথা বলবো।
ফুচকা ছাড়া পুজো অসম্পূর্ণ! জেনে নিন কলকাতার সেরা ১০ ফুচকার ঠিকানা (Durga Puja)
১) দুর্গাপূজার (Durga Puja) সময় ঠাকুর দেখতে গেলে ঢাকুরিয়াতো গেছেন। কিংবা পুজোর কেনাকাটা করতে হাজির হয়েছেন দক্ষিণাপণে। সেই দক্ষিণাপনের ঠিক সামনেই বসা রাজেন্দ্রর ফুচকা খেতেই হবে। এখানে গেলে আপনি নানান ধরনের ফুচকা পাবেন। এছাড়াও টক জলে ফুচকা তো রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে দই ফুচকা, মিঠা ফুচকা। এবারের পূজোর শপিং করতে যদি আপনি যান তাহলে একবার এই দোকান থেকে ফুচকা খেয়ে যেতে পারেন।
২) এছাড়াও, আলিপুরের উডল্যান্ড রোডের সামনে একটি জনপ্রিয় ফুচকার (Fuchka) দোকান আছে। সেখানে প্রায় ১৭ রকমের ফুচকা পাওয়া যায়। সাত বদলের জন্য এই দোকান থেকে আপনি সেজ্যুয়ান চিকেন ফুচকা খেয়ে দেখতে পারেন। এই দোকানের চকলেট ফুচকা খেতে একবার আসতেই পারেন।
৩) আচ্ছা আপনি কখনো কাজ কলার ফুচকা খেয়েছেন? প্রথমে শুনলে হয়তো অবাক হবেন। তবে চক্রবেরিয়ার উপেন্দ্র ফুচকা থেকে খেতে পারেন এই ইউনিক ধরনের ফুচকা। যেখানে আলুর বদলে ব্যবহার করা হয় কাঁচকলা।
৪) লেক কালীবাড়ি চেনেনা এমন মানুষ খুব কম আছেন। লেক কালী বাড়ির সামনে দুর্গা পন্ডিতের ফুচকা এই তালিকায় থাকবেই। তার দোকানে আলুর দম ফুচকার জনপ্রিয়তা আলাদাই রয়েছে।
৫) লেক কালী বাড়ি থেকে একটু এগোলে পরে বিবেকানন্দ পার্ক। সেখানে জনপ্রিয় দিলীপ দার ফুচকার স্বাদও অনন্য। তার দোকানে নিরামিষ থেকে আমি বিভিন্ন ধরনের ফুচকা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: পুজোয় ওড়িশা বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান? খড়্গপুর হয়ে নতুন ট্রেন রুট ঘোষণা করল রেল দফতর
৬) এছাড়াও নিউ আলিপুরের পেট্রোল পাম্পের কাছে রয়েছে বোসেন বিজয় প্রকাশের ফুচকার দোকান। তার দোকানের পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের ফুচকা ও তার সাধও হয় দারুন।
৭) হিংয়ের কচুরি তো অনেকবার খেয়েছেন। এবার যদি হিংয়ের ফুচকা খেতে চান তাহলে আপনাকে যেতে হবে রাসেল পার্কে। আলুর পুরের মধ্যে থাকে হিং এর স্বাদ। পাশাপাশি টক জলে থাকে পুদিনা। এখানকার ফুচকা খেলে আপনাকে বারবার আসতেই হবে রাসেল পার্কে।
৮) আপনি যদি ঘরে বানানো মশলা দিয়ে ফুচকার স্বাদ পেতে চান তাহলে আপনাকে যেতে হবে বরদান মার্কেটের কৃষ্ণকান্ত শর্মার ফুচকার দোকানে। তার দোকানে বাইরে থেকে কেনা কোন মশলা দিয়ে আলু মাখা হয় না।
৯) ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল বহুবার ঘুরতে গিয়েছেন। তাহলে সেখানের রামু গুপ্তার ফুচকাও খেয়ে দেখেছেন। বাড়িতে বানানো তেঁতুলের কাথ ব্যবহার করা হয় ওনার দোকানে।
১০) ঠাকুর দেখতে গেলে যদি দেশপ্রিয় পার্ক যান। তাহলে প্রিয়া সিনেমা হলের সামনে যে ফুচকা স্টলটি রয়েছে। সেখান থেকে একবার ফুচকা (Fuchka) খেয়ে দেখতে পারেন।