বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আজ হংকংয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামার সময় একটি চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোহিত শর্মা দ্বিতীয় ম্যাচে নেবেন তা কেউ ভাবতেই পারেনি। পাকিস্তান ম্যাচের গোটা একাদশের ১০ জনকেই অপরিবর্তিত রেখে কেবল মাত্র হার্দিক পান্ডিয়ার বদলে রিশভ পন্তকে দলে আনার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত। যদিও ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তের কোন প্রভাব চোখে পড়েনি।
আজ রোহিত শর্মা ব্যাট হাতে খুব বেশি কিছু করতে পারেননি। যদিও শুরুটা অত্যন্ত ঝোড়ো গতিতে করেছিলেন তিনি। কিন্তু ১৩ বলে ২১ রান করে আউট হওয়ার সময় একটি অনন্য রেকর্ড গড়ে ফেলেছিলেন হিটম্যান। দেশের জার্সি গায়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে তিনি ৩৫০০ রানের গন্ডি অতিক্রম করে গিয়েছেন। তার পেছনে থাকা দুজন ক্রিকেটার হলেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনার মার্টিন গাপ্টিল (৩৪৯৭) ও প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি (৩৪০২), যিনি আজ একটি দুরন্ত ইনিংস খেলেছেন।
রোহিত ঝোড়ো ব্যাটিং করলেও অফফর্মে থাকা লোকেশ রাহুল আজ অত্যন্ত ধীরগতিতে ব্যাটিং করছিলেন। কোহলি এসেও সেট হতে বেশ কিছুটা সময় নিয়ে ফেলেন। দুর্বল হংকংয়ের বিরুদ্ধে একটা সময় ভারতীয় দল ওভার প্রতি সাতেরও কম রান রেট নিয়ে চলছিল। রাহুল একসময় পরপর দুটি ছক্কা মারলেও রানের গতি বাড়াতে পারেননি। ৩৯ বল খেলে ৩৬ রান করে আউট হন তিনি। এরপর মাঠে আসেন সূর্যকুমার যাদব এবং পরপর দুটি দুর্দান্ত সুইপে ৮ রান কুড়িয়ে নিজের মনোভাব স্পষ্ট করে দেন।
সূর্যকুমার যাদবের তাণ্ডব থেকে ধীরে ধীরে হাত খুলতে শুরু করেন বিরাট কোহলিও। বেশকিছু দৃষ্টিনন্দন শট খেলে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন কোহলি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এটি ছিল তার ৩১তম অর্ধশতরান। কিন্তু কহলি অর্ধশত রান করলেও তার ওপর থেকে যাবতীয় পাদপ্রদীপের আলোয় ছিনিয়ে নেন ফর্মে থাকা সূর্যকুমার। দুর্বল হংকংয়ের বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালান স্কাই।
সাধারণ ব্যাটিং করে মাত্র ২২ বলে নিজের অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করেছিলেন সূর্যকুমার। ভারত একসময় ১৬০ রান তুলতে পারবে কিনা তা নিয়েই সন্দেহ হচ্ছিল। কিন্তু নিজের ব্যাটে ভর করে সেই স্কোরকে দুশোর কাছাকাছি নিয়ে আসেন স্কাই। লোকেশ রাহুল যদি শুরুর দিকে অতটা ধীরগতিতে ব্যাটিং না করতেন তবে সহজেই দুশোর গণ্ডি অতিক্রম করতে পারতো মেন ইন ব্লুজ। হংকংয়ের হয়ে শেষ ওভারে বল করতে আসা আর্ষদ মোহাম্মদের ওভারে চারটি ছক্কা সহ ২৬ রান করেন তিনি। ৬টি ছক্কা এবং ৬টি চার মেরে ২৬ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৪৪ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন কোহলিও। রান তাড়া করতে নেন ১৩ ওভারে শেষে হংকংয়ের স্কোর ৩ উইকেট হারিয়ে ৯২।