ফেলে দেওয়া ইলেকট্রনিকস যন্ত্র ডেকে আনতে পারে আরো এক ভয়ংকর মহামারি!

এই মুহুর্তে করোনা ভাইরাস সংকটে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। ক্রমাগত উপরের দিকে ছুটেই চলেছে আক্রান্তের গ্রাফ। এরই মধ্যে নতুন এক মহামারির আশঙ্কার কথা জানালেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আমাদের ফেলে দেওয়া ইলেকট্রনিকস বর্জ্যই ডেকে আনছে সেই মহামারি।

images 2020 10 03T174530.282

বৈদ্যুতিন পণ্যের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে ই-বর্জ্যও বাড়ছে। ২০১৫ সালে বিশ্বে ৫.৩৬ মিলিয়ন টন বর্জ্য উত্পাদিত হয়েছিল, যা গত পাঁচ বছরে ২১ শতাংশ বেড়েছে। অনুমান করা হয় যে ২০৩০ এই বৈদ্যুতিন বর্জ্যটির উত্পাদন ৭.৪ মিলিয়ন টনে পৌঁছে যাবে। যা ডেকে আনবে বিপদ

এই মুহুর্তে ইলেকট্রনিক আইটেম ছাড়া কোনও কাজ করা সহজ নয়। যে জিনিসগুলি ব্যাবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে, সেগুলি সঠিকভাবে রিসাইকেল না হওয়ায় একটি বড় সমস্যা হিসাবে তা আজ আমাদের মুখোমুখি হয়েছে। ই-বর্জ্য সরাসরি ক্ষতিকারক না হলেও ইলেকট্রনিকস শিল্পে ব্যাবহার হওয়া বিভিন্ন উপাদান অবশ্যই বিপজ্জনক।

কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইসে সিসা, দস্তা, ক্যাডমিয়াম ইত্যাদি থাকে তা শ্বাস প্রশ্বাসে প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি স্নায়ুতন্ত্র, রক্ত ​​সঞ্চালন, কিডনি এবং মস্তিষ্কের ব্যাধি, ত্বকের ব্যাধি, গলা প্রদাহ, ফুসফুসের ক্যান্সারের মত অনেক জটিল রোগের কারন হয়ে ওঠে এই বর্জ্য।

প্লাস্টিক এবং রেডিয়েশন উপাদানগুলি মোবাইল ফোন তৈরি সহ অনেক ইলেকট্রনিকস জিনিস তৈরিতে ব্যবহৃত হয় । এগুলি কয়েক শত বছর ধরে মাটিতে প্রাকৃতিকভাবে মিশে যায় না এবং পরিবেশে উপস্থিত এই বিপজ্জনক রাসায়নিক উপাদানগুলি ক্যান্সারের মতো অনেক মারাত্মক রোগের কারণ হয়ে ওঠে।

এই মুহুর্তে খুব কম ই-বর্জ্যই সঠিক ভাবে পুনঃব্যাবহার করা হয়। কিন্তু গবেষকেরা বলছেন খুব শিগগিরই এই বর্জ্য নিয়ে পদক্ষেপ না নিলে তা ভয়ংকর মহামারি ডেকে আনতে পারে।

সম্পর্কিত খবর