বাংলা হান্ট ডেস্ক: অনেকেই তাঁদের কর্মজীবনে কাঙ্ক্ষিত অর্থ উপার্জন করতে পারেন না। এমনকি, কেউ কেউ আবার চাকরিজীবন শেষ করে অবসরের পর্যায় পৌঁছে গিয়েও যথেষ্ট অর্থ সঞ্চয়ের পাশাপাশি নিজেদের চাহিদা পূরণেও অক্ষম থাকেন। তবে, বর্তমান প্ৰতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন এক খুদের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যার সম্পকে জেনে রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে যাবেন আপনি। শুধু তাই নয়, মাত্র ১১ বছর বয়সেই ওই বালিকা এত অর্থ উপার্জন করেছে যে সে এখন অবসর গ্রহণ করছে। শুধু তাই নয়, তার নিজস্ব বাংলো ও মার্সিডিজের (Mercedes-Benz) মত বিলাসবহুল গাড়িও রয়েছে।
মূলত, আজ আমরা অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত পিক্সি কার্টিসের (Pixie Curtis) প্রসঙ্গে জানাবো। এত অল্প বয়সে অন্যান্য শিশুরা যখন স্কুলে পড়াশোনা করে তখন সে একজন উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য যে, পিক্সি অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত পাবলিক রিলেশন ব্যক্তিত্ব রক্সি জ্যাসেঙ্কোর কন্যা। রক্সি জানিয়েছেন, যে খুব অল্প বয়স থেকেই পিক্সি তাঁকে তাঁর ব্যবসায় সহায়তা করে আসছে। কিছুদিন আগে নিজের অনলাইন টয় স্টোরের চালু করে পিক্সি।
পাশাপাশি, তার পুরোনো উদ্যোগটিও খুব সফল হয়েছিল। পিক্সি তিন বছর আগে ফিজেট স্পিনার (এক ধরণের খেলনা) বাজারে এনেছিল। যা এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে পিক্সি প্রতি মাসে আয় করেছে ১ লক্ষ পাউন্ড (প্রায় ১ কোটি টাকা)। পাশাপাশি, পিক্সি বিভিন্ন ধরণের খেলনাকে প্রোমোটও করে। যেখান থেকে সে বিপুল অর্থ উপার্জন করে।
এখন পড়াশোনা শেষ করতে চায় সে: এই প্রসঙ্গে নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র ১১ বছর বয়সে পিক্সি বিপুল অর্থ উপার্জন করায় সে এখন অবসর নিতে চায়। শুধু তাই নয়, ব্যবসার কারণে তার পড়াশোনা অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়ায় এখন সে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে চায় বলেও জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে পিক্সির মা জাসেনকো জানান, তার ব্যবসা আগের মতোই চলবে কিন্তু এখন তিনি পিক্সির ওপর কাজের চাপ দিতে চান না। এখন সময় এসেছে তাকে বিরতি দেওয়ার। পাশাপাশি, রোজগার করার জন্য পিক্সির সামনে সমগ্ৰ জীবন পড়ে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
View this post on Instagram
তার কাছে রয়েছে বিলাসবহুল গাড়ি: উল্লেখ্য যে, পিক্সির কাছে বিলাসবহুল গাড়িও রয়েছে। সম্প্রতি জাসেনকো তাঁর মেয়েকে প্রায় দুই কোটি টাকার গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তুমুল আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল মার্সিডিজ বেঞ্জসহ একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি। তখন পিক্সির বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। এই প্রসঙ্গে জাসেনকো জানিয়েছেন যে, “এটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে পিক্সি এবং তার ভাই হান্টার দু’জনেই স্কুলে যাওয়ার পথে নিরাপদে থাকবে। তাই আমি তাকে গাড়ি কিনে দিয়েছি।” এদিকে গত আগস্টে, প্রিক্সি একটি নাইট ক্লাবে তাঁর জন্মদিন দুর্দান্তভাবে উদযাপন করেছিল। যেটির প্রসঙ্গেও বিভিন্ন আলোচনা হয়।