বাংলাহান্ট ডেস্কঃ খোঁজ পাওয়া গেল পৃথিবীর (earth) কাছাকাছি কৃষ্ণগহ্বরের (black hole)। বহুদিন ধরেই এই বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন পৃথিবীর নানা দেশের বিজ্ঞানী মহল। অবশেষে খোঁজ মিলল তার। মাত্র এক হাজার আলোকবর্ষ ( ৫.৮৮ লক্ষ কোটি মাইল) দূরে, ‘টেলিস্কোপিয়াম’ নক্ষত্রপুঞ্জে তার দেখা মিলল এই পর্যন্ত আবিস্কৃত পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের কৃষ্ণ গহ্বর বা ব্ল্যাক হোলের।
এক সেকেন্ডে আলোর গতি 299792458 মিটার। এক বছর আলো যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে আলোকবর্ষ বলা হয়। সেই হিসেবে এক হাজার আলোকবর্ষ অনেক খানি দূর মনে হলেও এই বিশাল মহাবিশ্বের তুলনায় এই দূরত্ব অতি নগন্য।
দুটি নক্ষত্রের অবস্থান থেকে কৃষ্ণগহ্বরটিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। একটি নক্ষত্র কৃষ্ণগহ্বরটিকে বেষ্টন করে ঘুরছে। অন্য নক্ষত্রটি প্রথমটির কক্ষপথকে ঘিরে বাইরে থেকে পরিক্রমা করছে। কৃষ্ণগহ্বরকে এ ভাবে চিহ্নিত করা গেল এই প্রথম। ওই নক্ষত্র জোড়ার নাম রাখা হয়েছে ‘এইচআর৬৮১৯’। ‘ইউরোপিয়ান সাদার্ন অবজ়ারভেটরি অর্গানাইজেশন’ এই আবিষ্কার করেছে। এখনো পর্যন্ত এটি পৃথিবীর সব চেয়ে কাছাকাছি কৃষ্ণগহ্বর। সূর্যের ঠিক পিছনেই রয়েছে এই ব্ল্যাক হোল।
কৃষ্ণগহ্বর মহাবিশ্বের এমন একটি বস্তু যা এত ঘন সন্নিবিষ্ট বা অতি ক্ষুদ্র আয়তনে এর ভর এত বেশি যে এর মহাকর্ষীয় শক্তি কোন কিছুকেই তার ভিতর থেকে বের হতে দেয় না, এমনকি তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণকেও (যেমন: আলো) নয়। প্রকৃতপক্ষে এই স্থানে সাধারণ মহাকর্ষীয় বলের মান এত বেশি হয়ে যায় যে এটি মহাবিশ্বের অন্য সকল বলকে অতিক্রম করে। ফলে এ থেকে কোন কিছুই পালাতে পারে না। অষ্টাদশ শতাব্দীতে প্রথম তৎকালীন মহাকর্ষের ধারণার ভিত্তিতে কৃষ্ণগহ্বরের অস্তিত্বের বিষয়টি উত্থাপিত হয়।