বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের ভূমিকম্পের আতংক গোটা বিশ্ব জুড়ে। ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নিউজিল্যান্ড (Earthquake in New Zealand)। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.১। এরই সঙ্গে জারি করা হয়েছে সুনামি অ্যালার্ট (Tsunami Alert)। কম্পনের দরুন কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
মার্কিন সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (USGS) সূত্রে খবর, আজ, বৃহস্পতিবার সকালে নিউজিল্যান্ডের কার্মাডেক দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় প্রবল কম্পন অনুভূত হয়। ভূগর্ভের অন্তত ১০ কিলোমিটার গভীরে এই কম্পনটির উৎসস্থল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.১। এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পের জেরে হওয়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
অপরদিকে, সুনামির সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) ন্যাশনাল ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছি, নিউজিল্যান্ডের জনবহুল মূল দ্বীপগুলিতে সুনামির কোনও ভয় আপাতত নেই। বলে রাখা ভাল, নিউজিল্যান্ডের ভৌগলিক অবস্থানের জন্যই দেশটি ভূমিকম্প প্রবণ। কয়েকশো দ্বীপ নিয়ে তৈরি দেশটি প্যাসিফিক ও অস্ট্রেলিয়ান টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলে রয়েছে। ফলে প্রতিবছরই দেশটি বহুবার কেঁপে উঠে।
বিশ্বের দুটি প্রধান টেকটোনিক প্লেটের সীমানাবর্তী এলাকায় অবস্থিত নিউজিল্যান্ড। সেই প্লেট দুটি হল প্যাসিফিক প্লেট এবং অস্ট্রেলিয়ান প্লেট। এছাড়াও নিউজিল্যান্ড রিং অফ ফায়ার নামে পরিচিত তীব্র ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার সংলগ্ন। তাই প্রতি বছরই হাজার হাজার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নিউজিল্যান্ড।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রবল ভূমিকম্পে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় তুরস্ক ও সিরিয়া। রিখটার স্কেলে সেই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল৭.৮। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কের গাজিয়ানটেপ। এটি সিরিয়া ও তুরস্কের সীমান্তে অবস্থিত। ভূমিকম্প দুই দেশেই ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালায়। মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষের। এছাড়া ভূমিকম্পের ধাক্কায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে লক্ষ লক্ষ বিল্ডিং।