ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল কলকাতা-সহ বঙ্গের একাধিক জেলা! প্রাণ বাঁচাতে বহুতল থেকে বেরিয়ে এলেন বাসিন্দারা

Published on:

Published on:

Earthquake shakes several districts of Bengal including Kolkata.
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলছিল অফিস টাইমের ব্যস্ততা! ঠিক সেই আবহেই শুক্রবার সকালে আচমকাই ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জেলা। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এদিন সকাল ১০.১০ মিনিটে আচমকাই এই কম্পন অনুভূত হয়। ইতিমধ্যেই ইউরোপিয়ান- মেডিটারেনিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ESMC) জানিয়েছে যে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৭।

আচমকাই ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল কলকাতা:

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের টুঙ্গি থেকে প্রায় ২৭ কিমি পূর্বে ঘোড়াশালের কাছে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বলে জানা গিয়েছে। সেখানে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬। এদিকে, এই ভূমিকম্পের জেরে পশ্চিমবঙ্গে মালদহ থেকে শুরু করে নদীয়া, দক্ষিণ দিনাজপুর, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলায় কম্পন অনুভূত হয়। এর পাশাপাশি বিহার এবং ত্রিপুরার মতো পড়শি রাজ্যেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

এদিকে, ভূমিকম্পের জেরে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শুরু করে নিউটাউন ও রাজারহাটের মতো অঞ্চলে বড় বড় আইটি বিল্ডিং এবং কর্পোরেট টাওয়ারগুলিতে কর্মীদের মাঝে আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়। ভূমিকম্পের বিষয়টি বুঝতে পেরেই আতঙ্কিত হয়ে কর্মীরা রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। এমনকি বাড়িতে থাকা বাসিন্দারাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন হলেন নিখাত জারিন, খেতাব জিতলেন পারভীনও! ওয়ার্ল্ড বক্সিং ফাইনালে নবম সোনা জিতল ভারত

বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প যথেষ্ট শক্তিশালী হিসেবে বিবেচিত হয়। শুধু তাই নয়, এই মাত্রার কম্পন বহুতলেও স্পষ্ট অনুভূত হয়। আর সেই কারণেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কর্মীরা। তবে, প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত এই ভূমিকম্পের জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর এখনও মেলেনি।

আরও পড়ুন: AI ডেটা সেন্টারের ব্যবসার জন্য বড় চুক্তি সম্পন্ন করল টাটা গ্রুপের এই সংস্থা! হবে ১৮,০০০ কোটির বিনিয়োগ

জানিয়ে রাখি যে, শুক্রবার ভোরে পাকিস্তানে প্রবল ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, সেখানে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.২। এছাড়াও, ভূকম্পন অনুভূত হয় আফগানিস্তানেও। সেখানে রাত ১.৫৯ মিনিটে প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। পাশাপাশি দ্বিতীয় কম্পনটি অনুভূত হয় ভোর ৩.০৯ মিনিটে। উল্লেখ্য যে, আফগানিস্তান থেকে শুরু করে পাকিস্তান এবং উত্তর ভারতের একটি বড় অংশ বিশ্বের সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলগুলির মধ্যে বিবেচিত হয়। মূলত, ভারতীয় এবং ইউরেশিয়ান টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষের কারণে হালকা থেকে শক্তিশালী পর্যন্ত ভূমিকম্প ঘটে।