বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ একজন স্ট্রাইকারের ঠিক কতটা সার্ভিস লাগে গোল করতে। গত ৪-৫ বছরে একাধিক বার ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) সমর্থকদের মুখে এই প্রশ্ন উঠে এসেছে। কারণ স্ট্রাইকার হিসাবে যাদেরকে ক্লাব নিয়ে এসেছে গত কিছু সময় তারা কেউই নিয়মিত গোল করে যাওয়ার ব্যাপারটা রপ্ত করতে পারেননি। গত বছর ক্লিয়েটন সিলভা দলে যোগ দেওয়ার পর এই সমস্যা মিটেছিল। কিন্তু অন্য সমস্যাগুলো এতটা প্রকট হয়েছিল যে ক্লিয়েটনের পারফরম্যান্স ইস্টবেঙ্গলের লিগ টেবিলে অবস্থানের ব্যাপারে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি।
এই বছর সেই ক্লিয়েটন সিলভা-কেও ছন্দে দেখায়নি ডুরান্ড কাপে বা ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তুতি ম্যাচগুলোয়। তাই ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত আইএসএলের প্রথম ম্যাচে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে হাভিয়ের সিভেইরো টোরোকে প্রথম একাদশে রেখে দল নামিয়েছিলেন। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের সেই পুরনো সমস্যা আজ আবার ফিরে এসেছিল তার হাত ধরে।
দুই প্রান্ত থেকে নন্দকুমার, মহেশ এবং মাঝমাঠ থেকে সাউল ক্রেসপো একাধিক সুযোগ তৈরি করলেন। কিন্তু বারবার হতাশ করে গেলেন সিভেইরো। প্রথমার্ধে সুযোগ নষ্টের প্রদর্শনী চলল ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ ভাগে। তার মধ্যে কিছু দুর্দান্ত সেভ করলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন এবং জামশেদপুর এর বর্তমান গোলরক্ষক টিপি রেহেনেশ। কিন্তু গোলমুখ খুলল না।
দ্বিতীয়ার্ধে চেষ্টা করার পর ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের মধ্যে ক্লান্তিটা স্পষ্ট চোখে আসে। সুযোগ তৈরি করেছিল দ্বিতীয়ার্ধে। কিন্তু ড্যানিয়েল চিমা চুকু বা নংদম্বা নাওরেমরা ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়িয়ে দিতে পারেননি। ফলস্বরূপ শেষপর্যন্ত ০-০ ফলে ড্র হয় ম্যাচটি।
ইস্টবেঙ্গল পরের ম্যাচে ঘরের মাঠে মুখোমুখি হবে হায়দরাবাদ এফসি। ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত জানিয়েছেন যেই ম্যাচের ভুলগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচে মাঠে নামবে তার দল। ইস্টবেঙ্গল পয়েন্ট নষ্ট করলেও উল্টোদিকে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস এএফসি কাপ ও আইএসএল মিলিয়ে পরপর দুই ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলেও খুবই সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে।