বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: সমস্যা কিছুতেই কাটছে না ইস্টবেঙ্গলের। চুক্তিজট, ইনভেস্টরদের সঙ্গে ঠিকঠাক কথা বলতে না পারা, কোনও প্লেয়ার সই করাতে না পারা, সেই সঙ্গে দলের সঙ্গে যুক্ত গত মরশুমের কিছু ভরসাযোগ্য প্লেয়ারের বেরিয়ে যাওয়া। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত নাজেহাল অবস্থায় লাল-হলুদ ক্লাবটি। যদিও ক্লাব কর্তাদের দেখলে তা বোঝার উপায় নেই। তারা এখনো ইমামির সঙ্গে বৈঠক করে উঠতে পারলেন না। সবমিলিয়ে প্রশ্ন উঠছে যে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে নিয়ে কি আদেও সিরিয়াস সাবেক কর্মকর্তারা? নাকি আবেগ সংক্রান্ত ব্যাপারটা শুধু সমর্থকদেরই যখের ধন।
এর আগেও চুক্তি সম্পূর্ণ হতে দেরি হওয়ায় দল গঠনের ক্ষেত্রে ভুগতে হয়েছিল শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবকে। জোড়া তালি দিয়ে টিম নামিয়ে কি ফলাফল হয়েছিল তা মনে করলে আজও শিউরে ওঠেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। একদিকে পোগবার দাদাকে আনছে এটিকে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। অলিম্পিক লিঁও-র মতো ক্লাবে খেলা ফুটবলার যোগ দিচ্ছে মহামেডানে। ইস্টবেঙ্গল দু-একটা যা ভরসা যোগ্য নাম দলে যুক্ত ছিল তাদেরও ধরে রাখতে সক্ষম হচ্ছে না।
প্রশ্ন তোলা হলে লাল-হলুদ কর্তারা জানিয়েছেন ইমামি গ্রুপের মালিকের একজনের বাড়িতে বিবাহ জন্য অনুষ্ঠান আছে। সেই অনুষ্ঠান মিটে গেলেই দুই পক্ষ একসাথে বসে সমস্ত কিছু ফাইনাল করবে। ইতিমধ্যেই ইমামের পাঠানো চুক্তিপত্রর প্রশ্রয় বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করে তা ইমামের কাছে ফেরত পাঠিয়েছে লাল-হলুদ কর্তারা। সূত্র মারফত জানা গেছে ইমামি কর্তার বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠান দুই পক্ষের বৈঠকের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। সামনাসামনি বসতে রাজি রয়েছে ইমামি কর্তৃপক্ষ। তবে কেন লাল হলুদ কর্তারা বৈঠকের দিনক্ষণ পিছিয়ে যাচ্ছেন তা এখনো রহস্য।
এরমধ্যেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ছেড়েছেন গত দুই মরশুমে চূড়ান্ত দুরবস্থার মধ্যে লাল হলুদ জার্সির জন্য জান লড়িয়ে দেওয়া মহম্মদ রফিক। লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্টের অবস্থা দেখে চেন্নাইয়ানের অফার পেয়ে আর দুবার ভাবেননি বই বাঙালি তারকা ফুটবলার। কলকাতা লিগের তরুণ তারকা ফরোয়ার্ড রাহুল পাশওয়ানকে গত জানুয়ারিতে সই করিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গলের টালমাটাল অবস্থা দেখে তিনিও ক্লাব ছেড়ে যোগ দিয়েছেন মহামেডানে। এরপর ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলতে নামলে কাদের নিয়ে মাঠে নামবে তা নিয়েই এখন চিন্তায় লাল-হলুদ সমর্থকরা।