বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: এখন আর সমর্থকরা হতাশও হন না। যে ক’জন মাঠে যান তারা প্রত্যেকেই প্রত্যাশা করে রাখেন যে ফলাফল তাদের বিরুদ্ধে যাবে। আর ইস্টবেঙ্গলও (East Bengal) নিজেদের ধারাবাহিকতা অবিশ্বাস্যভাবে বজায় রাখে প্রতিদিন একই একঘেঁয়েমি ভরা বিরক্তিকর ফুটবল খেলে। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না আইএসএলে (ISL)।
আজ পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা হায়দরাবাদ এফসি-র মুখোমুখি হয়েছিল লাল হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের আগেই কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে ইস্টবেঙ্গল এখন যে পরিস্থিতিতে আছে তাতে তিনি সন্তুষ্ট। কারণ তাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এমন মন ভাব থাকলে যা হওয়ার সেটাই হয়েছে আজও।
ঘরের মাটিতে প্রথমার্ধের ৯ মিনিটে জেভিয়ার সিবেইরো এবং অন্তিম মুহূর্তে অ্যারেন ডি-সিলভার গোলে ০-২ ফলে হারের মুখ দেখে ইস্টবেঙ্গল। পরিসংখ্যান বলছে যে আজকের ম্যাচে বলের দখল বেশি ছিল ইস্টবেঙ্গলের কাছেই। কিন্তু হায়দ্রাবাদে যেখানে গোল লক্ষ্য করে মোট সাতটি শট নিয়েছে সেখানে ইস্টবেঙ্গল টার্গেটে মাত্র একটি শট নিতে পেরেছে। ফলে যা হওয়ার সেটাই হয়েছে।
ইস্টবেঙ্গল চলতি মরশুমে ১৪ টি ম্যাচ খেলে মাত্র ৪টি-তে জয় পেয়েছে এবং ১০টি ম্যাচে হারের মুখ দেখেছে। পয়েন্টস টেবিলে তারা এখনো ৯ নম্বরেই রয়েছে। তবে পরিস্থিতি যেমন চলছে তাতে মরশুম শেষে যদি তারা শেষ স্থানে পৌঁছে যায় তাহলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না।
গত মরশুমে এই সময়ে যখন শ্রী সিমেন্ট ইনভেস্টরের গড়া দল নিয়ে অত্যন্ত খারাপ পারফরমেন্স করছিল ইস্টবেঙ্গল, তখন সরব হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনরা। কিন্তু এই মরশুমে তারা আশ্চর্যজনকভাবে নীরব। এর পেছনেও অন্য অঙ্ক দেখতে পাচ্ছে এক অংশের ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। অনেকেই ক্লাবের ম্যানেজমেন্টে পরিবর্তন চাইছে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল কর্তারা যে সেই সব সমর্থকদের দাবির প্রতি কর্ণপাত করেন না, সে কথা অনেক আগে থেকেই স্পষ্ট।