বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ আরও একবার ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ডিফেন্স চূড়ান্ত হতাশ করল ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। ওড়িশা এফসের বিরুদ্ধে ট্রাই করার পর আজ শক্তিশালী হায়দরাবাদ এফসির মুখোমুখি হয়েছিল স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের দল। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে দুই বার এগিয়ে গিয়েও ম্যাচ জিততে ব্যর্থ হলো লাল হলুদ শিবির।
আজ চার ভারতীয় ডিফেন্ডার উন্নীকৃষ্ণন, তুহিন দাস, সার্থক গলুই এবং লালচুংগুঙ্গাকে দিয়ে ম্যাচ শুরু করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। আজ ম্যাচ শুরুর মাত্র ৪ মিনিটের মাথায় ঠান্ডা মাথায় গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন নাওরেম মহেশ। তার ডিফেন্স ভেদ করা দৌড়ের সাথে তাল রাখতে পারেননি হায়দরাবাদের ডিফেন্ডাররা। কিন্তু তার ৫ মিনিটের মধ্যেই হায়দারাবাদ এফ সি-র স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড জাভিয়ার সিবেইরো মার্কিংয়ের ভুলের সুযোগ নিয়ে হেডে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান।
এরপর প্রথমার্ধে আরও দুইবার গোল করে ইস্টবেঙ্গল। মহেশের বাড়ানো বিপজ্জনক ক্রস গোল রক্ষক ঠেকালেও বিপদ সীমার বাইরে পাঠাতে পারেননি। দুরূহ কোণ থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে ফের একবার লিড এনে দেন ভিপি সুহের। এরপর প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে হায়দারাবাদ রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটা করে ইস্টবেঙ্গলকে হাফ টাইমের আগে দুই গোলের লিড এনে দেন মহেশ।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে কেরালার গরমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে ক্রমশ হাঁপিয়ে ওঠে গোটা ইস্টবেঙ্গল দল। এখনো বাকি দলগুলোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে সেটা আজ দ্বিতীয়ার্ধে আবার প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। ঝড়ের মতো একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকে হায়দরাবাদ এফসি। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স সেই আক্রমণের চাপ একেবারেই সামলাতে পারেনি। ৭১ মিনিটে দূরপাল্লার একটি শট বাঁচালেও রিবাউন্ড থেকে লুজ বলে দুরহ কোণ থেকে নেওয়া সিবেইরোর শট আটকাতে পারেননি কমলজিৎ। তার দশ মিনিট পরেই পরিবর্তক হিসেবে নামা তরুণ ফুটবলার আব্দুল রাবিহ দলের তৃতীয় গোলটি করে হায়দারাবাদকে সমতায় ফেরান।
এরপর একাধিকবার ম্যাচটি জিতে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল মানোলো মার্কুয়েজের ছেলেরা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তারা সেই সুযোগগুলো নিতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে কোনরকম আক্রমণ করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল আক্রমণ ভাগ। ইংল্যান্ডের ফরওয়ার্ড জ্যাক জার্ভিসকে তুলে নেওয়ায় হায়দারাবাদ ডিফেন্সের উপর যেটুকু চাপ ছিল সেটুকুও সরে যায়। নিজেদের গ্রুপে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। শেষ ম্যাচে আইজলকে হারালেও নকআউটে যোগ্যতা অর্জনের জন্য তাদের মূলত ভাগ্যের ওপরে নির্ভর করতে হবে।