বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: কাল থেকে পুরোদমে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। শহরে এসে কোনওরকম ক্লান্তির লক্ষণ না দেখিয়ে নিজে উপস্থিত থেকে দলকে অনুশীলন করাচ্ছেন কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন যে তাদের হাতে যে ফুটবলার আছে তাদের দিয়ে ইস্টবেঙ্গল এমন একটি দল গঠন করবে যাদের বিরুদ্ধে খেলতে বাকি দলগুলো অস্বস্তিতে পড়বে। সেই দল করার পদ্ধতিতে কোন রকম পোশাক রাখতে চান না প্রাক্তন ভারতীয় কোচ।
ইতিমধ্যেই একটি অনুশীলন ম্যাচ খেলার কথা ভাবছে ইস্টবেঙ্গল। স্টিফেন কনষ্টানটাইনের ধারণা যতই প্র্যাকটিস হোক কিন্তু ম্যাচের পরিস্থিতি না পেলে ফুটবলারদের মধ্যে সঠিক বন্ডিং গড়ে উঠবে না। ইতিমধ্যে ঠিক হয়ে গেছে যে নৈহাটিতে ১৬ই আগস্ট বঙ্কিমাঞ্জলী স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম অনুশীলন ম্যাচ খেলবে ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ কে তা এখনও নিশ্চিত না হলেও উঠে আসছে মুম্বাইয়ের নাম। দিনক্ষণ ঠিক হলেও এখনও ম্যাচের সময় ঘোষণা করা হয়নি তবে শোনা যাচ্ছে ফ্লাডলাইটের আলোতেই খেলাটি হবে। ইতিমধ্যে নৈহাটি স্টেডিয়ামে ৬ই আগস্ট গোল্ড নৈহাটি কাপের ম্যাচে মুখোমুখি হবে এটিকে মোহনবাগান এবং মহামেডান।
ইতিমধ্যে ফুটবলার সই করানোর বিষয়ে আরো কয়েক ধাপ এগিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। বিদেশিদের নাম কাল অর্থাৎ শনিবারের মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার কথা। শোনা যাচ্ছিল সিএফএল এর জন্য যে বিদেশি নেওয়া হবে আইএসএলে তারা খেলবেন না, তাদের জায়গায় আবার অন্য বিদেশে আনা হবে। সেই মেয়ে আপাতত কোন আপডেট না থাকলেও ইস্টবেঙ্গল ইতিমধ্যে এফসি গোয়ার সেন্টার ব্যাক আইবানবা ডহলিংকে প্রস্তাব দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সব ঠিক থাকলে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিতে কোন সমস্যা হবে না তার। আইএসএলে গত মরশুমে তিনি ১৬ টি ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন এবং ডিফেন্ডার হওয়া সত্ত্বেও তিনি ১টি গোল এবং ২টি অ্যাসিস্ট করেছিলেন। ইতিমধ্যে রাউন্ডগ্লাস পাঞ্জাব এফসি থেকে সুমিত পাসিকে প্রায় নিশ্চিত করে ফেললেও এখনো জামশেদপুর এর কাছ থেকে ঋত্বিক দাস কে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। ট্রান্সফার ফি’র সমেত প্রস্তাবও গেছে জামশেদপুর এফসি ম্যানেজমেন্টের কাছে।
ইতিমধ্যে ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় দিনে প্র্যাকটিসেও খোশমেজাজে দেখা গেল সকল ফুটবলারকে। সৌভিক, সুহেররা যখন মাঠে নামছিলেন তখন সমর্থকরা হাততালি দিয়ে তাদের উৎসাহ প্রদান করেন। এই মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গল এই যে মানুষটা সবচেয়ে বেশি উজ্জীবিত তার নাম হলো স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। দৌড়ে সমর্থকদের সঙ্গে হাত মেলাতে মেলাতে মাঠে নামেন তিনি। তারপর নিজে ফুটবলারদের সঙ্গে অনুশীলনে গা ঘামান। অনুশীলনের মাঝেই ফুটবলারদের মাঝমাঠে ডেকে নিজের স্ট্র্যাটেজি বোঝানোর চেষ্টা করেন। তার সহকারী বিনো জর্জ ব্যস্ত ছিলেন গোলকিপারদের নিয়ে।