বাংলা হান্ট ডেস্ক : উফ একটু ওজন বাড়লো কি না অমনি খাওয়া দাওয়ায় হাজার বিধি নিষেধ। ভাত খাবনা, মোটা হয়ে যাচ্ছি, অন্য কিছই খাওয়া যাবে না সিদ্ধ ছাড়া। সবজি এটা সেটা সিদ্ধ করে খাওয়াতেই যেন কি আরাম। যদিও ভালো লাগে না, কিন্তু ওই যে ওজন কমানোর প্রতিযোগিতা। তা তো আবার মেনে না চললেই যেন মন পসন্দ হয়না। একটু সুন্দর দেখে জামা পড়তে গেলেই লজ্জা লাগে।
তাই ভাত প্রিয় বাঙালী যেন ভাতটাই ভুতে বসেছে। তবে কথাতেই আছে মাছে ভাতে বাঙালি, তাই মোটা হওয়ার দৌড়ে ভাত খাওয়া তুলে দিলেও কিন্তু ভাতের দিকে মন ছুঁক ছুক করে। একটু ভাত পেলেই যেন মন খুশ। তবে ভাত খেলেই যে মোটা হয়ে যায় এই ধারনাও কিন্তু ভুল, এমনটাই বলছেন পুষ্টিবিদরা। আসলে ভাত খেতে হবে নিয়ম মেনে। তাহলেই সহজে মোটা হওয়ার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। এক পুষ্টিবিদ বলেন ভাত প্যাকেটজাত খাবারের থেকে বহুগুণে ভালো। ভাত খেলে কোনোরকম যেন ক্ষতি হয়না তেমনি ফ্রি ফুড।
য়েহেতু সোডিয়াম কোলেস্টেরল এবং চর্বি থাকে না তাই ভাত অত্যন্ত শরীরে জন্য ভালো। তবে মোটা হওয়ার হাত থেকে রেহাই পেতে এবং মন ভালো রেখে ভুঁড়ি কমাতে গেলে অবশ্যই ভাত খাওয়ার ব্যাপারে কিছু নিষেধাজ্ঞা মানতেই হবে। আর সেই নয়ম মানলেই কোনো চিন্তা নেই। জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কি কি-
. গ্লাইকোজেন যাতে না জমে তার জন্য এক কাপ ভাত নিলে তার সঙ্গে সম পরিমানে স্যালাড ও সবিজ নিতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে ভাত যেন কোনোভাবেই ওগুলির থেকে বেশি না হয়।
. ভাত কম খেয়ে সবজি, মাংস, মাছ, ডিম এগুলি বেশি করে খান। তারসঙ্গে ডালটাও, লোভে পড়ে যদিও একটু বেশি খান তো একেবারে গেল।
. ভাত খেয়ে উঠে চা বা কফি পান কখনই করবেন না এতে শরীরে স্টার্চ থেকে যায়। এবং ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
. ভাত খেয়েই ভাতঘুম নয়। বরং ভাত খেয়ে একটু বসে থাকুন তারপরে ঘুমান। ভাত ঘুম দিলেই মেদ জমে যাবে সহজেই।
. বাদামি, কালো ও লাল চাল খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ হোল গ্রেন শরীরে জন্য ক্ষতিকর বেশি।